বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার চান্দপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে বলে কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ জানান।
আহতদের মধ্যে চান্দপাড়া গ্রামের উত্তরপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি মাহবুবুল আলম, খালেকুজ্জামান ও জুয়েল রানাকে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গ্রামবাসীর বরাত দিয়ে ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ জানান, চান্দপাড়া গ্রামে উত্তরপাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে মাবুবুল আলমের সঙ্গে গ্রামের শফিক ও কবীর মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে গ্রামে দুইটি পক্ষের সৃষ্টি হয়।
“সকালে মসজিদে ঈদুল আজহার জামাত আদায় করতে গ্রামের সবাই মসজিদে যান। তখন এক পক্ষ ঈদের নামাজ মসজিদ ও বারান্দায় করার কথা বলে; অপরপক্ষ মসজিদ প্রাঙ্গণে করার কথা বলে।”
পরে গ্রামের মুরুব্বীদের হস্তক্ষেপে শান্তিপূর্ণভাবে ঈদের নামাজ শেষ হয়।
ওসি বলেন, এর জেরে দুপুরে একটি পক্ষের লোকজন জোহরের নামাজ পড়তে গিয়ে দেখেন অপর পক্ষের লোকজন মসজিদে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। তখন তারা মসজিদের বারান্দাতেই নামাজ পড়ার প্রস্তুতি নেন। ওই সময় অপর পক্ষের লোকজনও মসজিদে আসেন।
“এ সময় এই দুই পক্ষ দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আট জন আহত হন।”
ওসি আরও জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে সেখানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। আবার যাতে কেউ পরিস্থিতি অশান্ত না করেন পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রামবাসীকে বলা হয়েছে।
অভিযোগ পেলে থানায় মামলা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।