মহামারীর ধাক্কায় সেই জীবিকা ওলটপালট হয়ে গেছে। লকডাউন, কঠোর বিধিনিষেধ আর স্বাস্থ্যবিধির তোড়জোরে এখন ব্যাপক হৈচৈ করে বিয়ের আয়োজন বন্ধ। ফলে মঞ্জু বাদ্যকরদের রোজগারও থমকে গেছে।
মঞ্জু বাদ্যকর জানান, গত দেড় বছর ধরে বিয়েতে তাকে কেউ ডাকেনি। খুব কষ্ট করে চলছে সংসার।
মঞ্জু জানান, ছয় জনের সংসার তার। তার দুই ছেলেও তার মতই বাদক। তারা সবাই করোনাভাইরাসের প্রকোপে বেকার হয়ে পড়েন। তাই পেটের তাগিদে কখনো কখনো লাকড়ি কুড়িয়ে বিক্রিও করেছেন তারা। আবার কখনও মাটি কাটার কাজে যোগ দিয়েছেন।
রোজগার পড়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতিতে তিনি বলেন, “মানুষের কাছে হাত পাতা ছাড়া উপায় নেই।”
রোটারি ক্লাব অব শ্রীমঙ্গলের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান রিপন জানান, মঞ্জু বাদ্যকর খুবই কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
এক প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী উপহার দিলে দুই-তিন বেলায় শেষ হয়ে যাবে। তার সংকটের স্থায়ী সমাধানের চিন্তা থেকে তাকে প্রথম চালানের সবজিসহ একটি ভ্যানরিকশা উপহার দেওয়া হয়, বলেন তিনি।
যে হাতে ঝনা, ঢাক, সাইড ড্রাম, সানাই, বাঁশিসহ নানা বাদ্যযন্ত্র বাজাতেন সেই হাতে এখন সবজিভরা ভ্যান টেনে দুয়ারে দুয়ারে বিক্রি করছেন মঞ্জু। আশা করছেন টিকে যাবেন এ যাত্রা।