রোগীর মৃত্যু: গাইবান্ধা জেনারেল হাসাপাতালে ভাংচুর

এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গাইবান্ধা সদর জেনারেল হাসাপাতালে ভাংচুর ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গাইবান্ধার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 July 2021, 06:18 PM
Updated : 18 July 2021, 06:18 PM

রোববার বিকেলে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাটিকামারী গ্রামের বাসিন্দা জাহেদা বেগমের (৫৫) মৃত্যুকে ঘিরে এ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়।

গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাহফুজার রহমান বলেন, “এ ঘটনায় গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক তাহেরা আকতার বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

প্রয়াত জাহেদা বেগমের ছেলে জাহিদ হাসান বলছেন, রোববার বেলা ১২টার দিকে লো ব্লাড প্রেসারের রোগী তার মাকে নিয়ে গাইবান্ধা সদর জেনারেল হাসপাতালে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মায়ের তিনটি পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন। সে সব পরীক্ষার পর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আবারও তার মাকে হাসপাতালে যান তারা।

“তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার সুজন পাল তাকে হাসপাতালে ভর্তি না করিয়ে পরদিন সোমবার) রক্ত দিতে বলেন।”

পরে হাসপাতালেই বিনা চিকিৎসায় তার মা জাহেদা বেগম মারা যান বলেন তিনি। 

অন্যদিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সুজন পাল বলছেন, প্রথমে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হলেও রোগীকে বাড়ি নিয়ে যান স্বজনরা। বিকেলে রোগীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা।

কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহেদা বেগমকে মৃত ঘোষণা করলে ‘রোগীর স্বজনরা জরুরি বিভাগে হামলা চালিয়ে চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করেন’। এছাড়া তিনি এক নারী চিকিৎসক এবং হাসপাতালে অন্যান্য কর্মচারীরা ‘রোগীর স্বজনদের মারধরের’ শিকার হন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানান তিনি।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জাহিদ হাসান বলছেন, চিকিৎসক ও কর্মচারীরাই তাদের উপর আক্রমণ করেছে।

তবে এ বিষয়ে জানতে গাইবান্ধা সদর জেনারেল হাসাপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হারুন-অর-রশিদ এবং গাইবান্ধার সিভিল সার্জন আ ক ম আখতারুজ্জামানকে ফোন করে পাওয়া যায়নি।

গাইবান্ধা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রজব আলী জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে আছে।