রোববার দুপুরে শহরের অনন্ত হল এলাকা থেকে ওই নেতাকে তুলে নিয়ে মারধর করে বাইপাস এলাকায় ফেলে যায় বলে অভিযোগ করা হচেছ।
আহত আব্দুর রশিদ মোল্লা পাবনার সুজানগর উপজেলার সাগরকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, “আমরা এ ধরনের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশী তল্লাশি এবং ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাই।
“পরে শুনতে পাই তাকে শহরের বাইপাসে সন্ত্রাসীরা ফেলে রেখে গিয়েছে।”
কারা এ ঘটনায় জড়িত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিস্তারিত পরে জানানো হবে’।
“পাবনা শহরের অনন্ত হল এলাকায় পৌঁছেলে একদল সন্ত্রাসী আমাদের অটোরিকশার গতিরোধ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই রশিদ মোল্লাকে নামিয়ে নিয়ে যায় তারা। তার সাথে আমি ছিলাম বিষয়টি তারা বুঝতে পারেনি।”
অটোরিকশা থেকে নেমে তিনি স্বজনদের ঘটনাটি জানান। রশিদ মোল্লার পরিবারের লোকজন পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে বলেন তিনি।
শালগাড়িয়া বাইপাস এলাকার বাসিন্দা জেলা ছাত্রলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রব বাপ্পি বলেন, “দেখি একদল সন্ত্রাসী এক মুরুব্বীকে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে মাইক্রোবাস যোগে চলে যায়। তাৎক্ষণিক আমি তাকে উদ্ধার করে পাশের সততা ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করি।”
বাপ্পি জানান, ওই মুরুব্বীর (আব্দুর রশিদ মোল্লা) জ্ঞান ফেরার পর তাকে জানায় সম্প্রতি এলাকায় এক ঝামেলাকে কেন্দ্র করে ‘স্থানীয় গোলাম রসুল বকুল বাহিনী’ ক্ষুব্ধ হয়। তারাই তাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। অপহরণকারীদের কয়েকজনকে চিনতে পেরেছেন বলেও তিনি জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে সুজানগরের কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর নাম রয়েছে।
এদিকে, সুজানগর পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি এসএম শোহাগ এ ঘটনার সাথে জড়িত নন বলে দাবি করেছেন।