সাভারে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ২ পুলিশের বিরুদ্ধে

গরু বহনকারী পিকআপ চালক ও তার সহকারীকে মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে ‘লক্ষাধিক’ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঢাকার সাভার থানার দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।

সাভার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 July 2021, 01:14 PM
Updated : 17 July 2021, 01:14 PM

সাভারের ছায়াবিথী এলাকার পিকআপ চালক আনিক আহম্মেদ এই অভিযোগ করেছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, কোরবানির পশু বহনের পর শুক্রবার রাত ২টার দিকে তিনি সাভারের উলাইল বাসস্ট্যান্ডের কাছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে দাঁড়ান।

“তখন সাদা একটি প্রাইভেট কার থেকে নেমে দুই ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দেন। তারা আমাকে ও আমার সহকারী ফজলুকে হাতকড়া পরিয়ে প্রাইভেট কারে উঠিয়ে ইয়াবা দিয়ে মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করেন। তাদের ১১ হাজার টাকা দিই। এছাড়া তাদের নির্দেশমত নগদ অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা পাঠাই। এরপর আরও টাকা না দিলে ডাকাত সাজিয়ে গ্রেপ্তার দেখানোর ভয় দেখান তারা। পরে বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফোন করি। স্ত্রী প্রতিবেশীদের কাছ থেকে টাকা ধার করে এক লাখ ২০ হাজার টাকা দিলে তারা আমাদের ছেড়ে দেন।”

পিকআপের মালিক কামরুল ইসলাম বলেন, “প্রথমে ভেবেছিলাম ভুয়া পুলিশ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পরে সাভার থানায় গেলে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে চিনতে পারেন অনিক। তাদের একজন এসআই আলমগীর হোসেন। অপরজন এএসআই আহসান হাবিব।

“যে নম্বরে ১০ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন অনিক, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সেই নম্বরটি ব্যবহার করেন এসআই আলমগীরের সোর্স জাকির হোসেন।”

ওই নম্বরে টাকা যায়নি বলে জাকির দাবি করেছেন। তবে ট্রানজেকশনে দেখা গেছে, ওই নম্বরে টাকা পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগ বিষয়ে জানার জন্য এসআই আলমগীর হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কোনো উত্তর দেননি। তিনি সময় করে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন।

তবে এএসআই আহসান হাবিব দাবি করেছেন, “ঘটনার সময় আমার ডিউটি ছিল না।”

এ কথা বলেই তিনি মোবাইল ফোনের লাইন কেটে দেন।

সাভার থানার ওসি মাইনুল ইসলাম বলেন, “দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তি ফোনে অভিযোগে করেছেন। ওই ব্যক্তি পরে এসে বিস্তারিত জানাতে চেয়েছেন।”

এ বিষয়ে জেলার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন পিকআপ মালিক কামরুল ইসলাম।