বেনাপোল সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ ফের বৃদ্ধি

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি চালু রেখে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ আরেক দফা বাড়ল।

বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব বলেন, “সীমান্ত বন্ধের পত্র হাতে পেয়েছি। সীমান্ত বন্ধের কারণে প্রথম থেকে এপথে যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে। তবে সীমান্ত বন্ধের আগে যারা দুই দেশে আটকা পড়েছিল তারা দূতাবাসের অনাপত্তিপত্র নিয়ে ফিরছেন।”

আহসান হাবিব বলেন, চলমান এ মেয়াদ নতুন করে বাড়িয়ে ৩১ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে। ফলে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। তবে সীমান্ত বন্ধের মধ্যে ভারত থেকে বাংলাদেশিদের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে আগের নিয়ম বলবৎ থাকবে।

"ভারত থেকে ফেরত আসাদের ক্ষেত্রে ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন থেকে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) ও কোভিড সনদ নিয়ে সপ্তাহে তিনদিন রোববার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার আসতে পারবে।”

তাদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ অনুমতিপত্র নিয়ে এই সময়ের মধ্যে ভারত ভ্রমণ করা যাবে।

চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল দেশটির সঙ্গে ১৪ দিনের জন্য সব ধরনের সীমান্ত বন্ধ করে বাংলাদেশ। পরবর্তীতে সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ কয়েক দফায় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ১৩ জুলাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষণায় ৩১ জুলাই পর্যন্ত সীমান্ত বন্ধ রাখার কথা বলা হয়।

ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা শর্ত মেনে দেশে ফিরতে পারবেন এবং সেই সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ থাকলেও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।

যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান বলেন, বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে গত ২৬ এপ্রিল থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ভারতে আটকেপড়া ৬ হাজার ৩২৯ জন বাংলাদেশি যাত্রী ফেরত এসেছেন। এর মধ্যে ১৪২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। আর ভারত থেকে করোনা সংক্রমণ (পজিটিভ) নিয়ে দেশে ফিরেছেন ১৩ জন বাংলাদেশি।

একই সময়ে ভারত থেকে ৪১ জনের মৃতদেহ এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, চিকিৎসা নিতে গিয়ে এসব বাংলাদেশি ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে মারা যান। কোয়ারেন্টিনে অবস্থানকালে অন্যান্য দুরোরোগ্য রোগে মারা গেছেন ৫ জন।