ঠাকুরগাঁওয়ের গৃহবধূ মিলির মৃত্যু রহস্যের কিনারা হয়নি

ঠাকুরগাঁও শহরের গৃহবধূ সান্তনা রায় ওরফে মিলি চক্রবর্তীর লাশ উদ্ধারের ঘটনার কোনো কিনারা হয়নি।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিমো. শাকিল আহমেদ, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 July 2021, 03:16 PM
Updated : 16 July 2021, 03:16 PM

গত ৮ জুলাই শহরের শহীদ মোহাম্মদ আলী সড়কে মিলির লাশ পাওয়া যায়। মিলি (৪৯) শহরের তাঁতিপাড়ার সমীর কুমার রায়ের স্ত্রী।

স্বজনদের অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলা হলেও তারা অস্বীকৃতি জানান বলে পুলিশের ভাষ্য।

এই ঘটনায় ১০ জুলাই ঠাকুরগাঁও সদর থানার এসআই নির্মল কুমার রায় বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় বলা হয়, গত ৮ জুলাই সকালে শহরের শহীদ মোহাম্মদ আলী সড়কের দুইটি বিপণিবিতানের মাঝের ফাঁকা সরু গলি থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় গৃহবধূর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।

সুরতহাল রিপোর্টে এই গৃহবধূর শরীরের বিভিন্ন জায়গা পোড়া ও ঝলসানো অবস্থায় পাওয়া যায় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার নথি থেকে আরও জানা যায়, গৃহবধূ সান্তনা রায় ওরফে মিলি চক্রবর্তীর মৃত্যুর ঘটনা উদঘাটনের জন্য মামলার বাদী ওই গৃহবধূর স্বামী, ছেলে, ভাইসহ আত্মীয়-স্বজন ও এলাকার লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মৃত গৃহবধূর স্বামী ও তার ছেলে জানান, ৭ জুলাই রাত ১০টার দিকে খাওয়া শেষ করে বাড়ির লোকজন ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির লোকজন মিলির মৃত্যুর খবর পান।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য গৃহবধূর লাশ ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জনের মাধ্যমে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান বরাবর পাঠানো হয়েছে।

“মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করতে আমরা কাজ করছি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে অনেকগুলো বিষয় পরিষ্কার হয়ে যাবে। আশা করি, খুব অল্প সময়ের মধ্যে রহস্য উন্মোচন হবে।”

মিলির স্বামী সমীর কুমার রায় বলেছিলেন, “রাতে একসাথে খাওয়া করে ঘুড়িয়ে পড়ি। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি মিলি বিছানায় নেই। পরে খোঁজাখুজি বাড়ির পাশের গলিতে তার লাশ দেখতে পাই।”

মিলি চক্রবর্তী ‘দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে’ ভুগছিলেন বলে সমীর জানান।

তবে নাম প্রকাশে স্থানীয় কয়েকজন জানান, মিলি ‘স্বাভাবিক’ ছিলেন। কখনও তিনি অস্বাভাবিক আচরণ করেননি।

মামলার বাদী সদর থানার এসআই নির্মল কুমার রায় বলেন, “মিলি চক্রবর্তীর লাশ উদ্ধারের ঘটনাটি আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হয়েছে। মনে হয়েছে কে বা কাহারা তাকে হত্যা করেছে এবং ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য লাশ ফেলে রেখেছে। সত্য ঘটনা উদঘাটনের জন্যই মামলাটি করেছি।”