শিমুলিয়া ঘাটে মানুষের ঢল, ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা পাড়ি

লকডাউন শিথিলের পর মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। শুক্রবার ছুটির দিনে সকাল থেকেই ফেরিঘাটে দেখা গেছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি আর লঞ্চঘাটে মানুষের জট।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 July 2021, 06:14 AM
Updated : 16 July 2021, 06:18 AM

বর্তমানে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে ৮০টি লঞ্চ ও ১৩টি ফেরি চলাচল করছে, কিন্তু যানবাহন ও মানুষের চাপে কুলিয়ে উঠতে পারছে না সেগুলো। উত্তাল পদ্মায় ফেরি চলাচলে ধীর গতির কারণে ঘাটে জট আরও বাড়ছে।

লকডাউন শিথিলের পর শুক্রবার সকালে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে পদ্মা নদী পার হতে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল।

ঢাকা থেকে দক্ষিণ জনপদের জেলাগুলোতে যাওয়ার জন্য পদ্মা পারাপারের গুরুত্বপূর্ণ দুই নৌপথের একটি হল শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ফেরি রুট।   

লঞ্চগুলোতে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলার কথা থাকলেও বাস্তবে ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে নৌযানগুলো। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো তৎপরতাও দেখা যায়নি।

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে শুক্রবার সকালে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে নামে ঘরমুখো মানুষের ঢল। গাদাগাদি করে ফেরিতে ওঠার সময় স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করেননি কেউ।

বিআইডব্লিউটিসির সহ-মহাব্যবস্থাপক মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ায় ফেরি পারাপারে যানবাহনের জট সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে বহরে ১৭টি ফেরি রয়েছে। কিন্তু পদ্মায় প্রবল স্রোতের কারণে ৪টি ফেরি চলতে পারছে না। ১৩টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারপার করা হচ্ছে।

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে শুক্রবার সকালে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে নামে ঘরমুখো মানুষের ঢল। গাদাগাদি করে ফেরিতে ওঠার সময় স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করেননি কেউ।

পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকলেও ঘাটে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না কেউ। ভিড়ের মধ্যে মাস্ক দেখা যাচ্ছে না অনেকের মুখে।

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে শুক্রবার সকালে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে নামে ঘরমুখো মানুষের ঢল। গাদাগাদি করে ফেরিতে ওঠার সময় স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করেননি কেউ।

শিমুলিয়া ঘাটের মূল কম্পাউন্ডের বাইরে এক্সপ্রেস ওয়েতে শতশত পণ্যবাহী ট্রাক অপেক্ষা করছে। যাত্রীবাহী গাড়িকে বেশি প্রাধান্য দেওয়ায় পণ্যবাহী ট্রাকের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে।