বর্তমানে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে ৮০টি লঞ্চ ও ১৩টি ফেরি চলাচল করছে, কিন্তু যানবাহন ও মানুষের চাপে কুলিয়ে উঠতে পারছে না সেগুলো। উত্তাল পদ্মায় ফেরি চলাচলে ধীর গতির কারণে ঘাটে জট আরও বাড়ছে।
ঢাকা থেকে দক্ষিণ জনপদের জেলাগুলোতে যাওয়ার জন্য পদ্মা পারাপারের গুরুত্বপূর্ণ দুই নৌপথের একটি হল শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ফেরি রুট।
লঞ্চগুলোতে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলার কথা থাকলেও বাস্তবে ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে নৌযানগুলো। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো তৎপরতাও দেখা যায়নি।
বিআইডব্লিউটিসির সহ-মহাব্যবস্থাপক মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ায় ফেরি পারাপারে যানবাহনের জট সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে বহরে ১৭টি ফেরি রয়েছে। কিন্তু পদ্মায় প্রবল স্রোতের কারণে ৪টি ফেরি চলতে পারছে না। ১৩টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারপার করা হচ্ছে।
পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকলেও ঘাটে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না কেউ। ভিড়ের মধ্যে মাস্ক দেখা যাচ্ছে না অনেকের মুখে।
শিমুলিয়া ঘাটের মূল কম্পাউন্ডের বাইরে এক্সপ্রেস ওয়েতে শতশত পণ্যবাহী ট্রাক অপেক্ষা করছে। যাত্রীবাহী গাড়িকে বেশি প্রাধান্য দেওয়ায় পণ্যবাহী ট্রাকের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে।