কঠোর লকডাউন তুলে নিয়ে সরকার জনসমাগম পরিহার করে স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনা দিলেও বৃহস্পতিবার সকালে তার কোনো বালাই ছিল না দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য পদ্মা পারাপারের এই ঘাটে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন,“তারপরও ভয়ঙ্কর করোনা সংক্রমণ ঝুঁকিতে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না ঘাটে আসা মানুষ।”
বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির জ্যেষ্ঠ ভাইস-প্রেসিডেন্ট মো. ইকবাল হোসেন খান বলেন, “আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চালাচ্ছি।”
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌপথে ৮৭টি লঞ্চ থাকলেও নয়টি বন্ধ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, লকডাউনের কারণে অনেকে তাদের কাগজপত্র হালনাগাদ করতে পারেননি। কাগজপত্র ঠিক করে শিগগিরই বন্ধ লঞ্চগুলো চালানো হবে।
নিয়ম ভঙ্গ করায় সকালে পাঁচটি লঞ্চ আটকের পর জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএর শিমুলিয়া লঞ্চঘাটের পরিদর্শক মোহাম্মদ সোলাইমান।
তিনি বলেন, পদ্মা এখন উত্তাল। প্রচণ্ড স্রোত। এর মধ্যে কোনো ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। আমরা সতর্ক আছি। যে লঞ্চগুলো চলছে সেগুলোর সার্ভে সার্টিফিকেট দেখে আমরা চলাচলের অনুমতি দিচ্ছি। যারা যথাযথ কাগজ দেখাতে পারেনি তাদের লঞ্চ চলতে দেওয়া হচ্ছে না।