পুলিশের দায়ের করা এ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক হুমায়ুন কবির বুধবার কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আসামিদের নারায়ণগঞ্জের আদালতে নিয়ে আসেন।
পরিদর্শক হুমায়ুন বলেন, “রিমান্ডে আসামির চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন, সেগুলো যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। তাদেরকে রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হয়েছে। প্রয়োজনে পরে আবার তাদের রিমান্ডে নেওয়া হবে।”
এদিকে হাসেমসহ আসামিদের জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করা হবে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসেমের মালিকানাধীন হাসেম ফুডস কারখানায় সেজান, সজীব, কুলসন, নসিলাসহ ১১টি ব্র্যান্ড নামে বিভিন্ন খাদ্যপণ্য উৎপাদিত হত।
গত বৃহস্পতিবার ওই কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকোণ্ডে অর্ধশতাধিক শ্রমিকের মৃত্যু হয়, যাদের অনেকে আবার শিশু।
ওই ঘটনায় রূপগঞ্জের ভূলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন মজুমদার গত শনিবার হত্যার অভিযোগ এনে ৩০২ ও আরও কয়েকটি ধারায় এ মামলা দায়ের করেন।
তাদের নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফাহমিদা খাতুনের আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হলে বিচারক চার দিন করে পুলিশ হেফাজতের আদেশ দেন।
আট আসামির মধ্যে হাসেমের চার ছেলে রয়েছেন, তারা হলেন- হাসীব বিন হাসেম (৩৯), তারেক ইব্রাহীম (৩৫), তাওসীব ইব্রাহীম (৩৩) ও তানজিম ইব্রাহীম (২১)।
বাকি তিনজন হলেন- সজীব গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহানশাহ আজাদ, হাসেম ফুডসের উপমহাব্যবস্থাপক মামনুর রশীদ এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিন।
আরও পড়ুন-