মঙ্গলবার সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেলে গণটিকা কর্মসূচি পরিদর্শনে এসে তিনি একথা বলেন।
অধ্যাপক ডা. সেব্রিনা বলেন, “এখন যে হারে কোভিড সংক্রমণ বাড়ছে সবার টিকা নেওয়াটাই সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। আমরা চাচ্ছি যত দ্রুত সম্ভব যত বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়া যায়; আমরা সেভাবেই কাজ করছি।”
এই মুহূর্তে টিকা নিয়ে কোনো গণচ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার শঙ্কা নেই বলেও তিনি মনে করেন।
তিনি বলেন, “আমরা যতই প্রস্তুতি নেইনা কেন রোগী কমাতে না পারলে কাজ হবে না। এক্ষেত্রে সাধারণ জনগোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।”
টিকা পাওয়ার চ্যালেঞ্জ মোটামুটি কাটিয়ে উঠেছেন উল্লেখ করে এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, “ইতিমধ্যে ৪৫ লাখ ডোজ টিকা এসে গেছে। আমরা আশা করছি এ সপ্তাহে ও পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে পর্যায়ক্রমে আরও টিকা আসবে। আমরা বিভিন্ন সোর্স থেকে টিকা কেনা এবং পাশাপাশি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমেও টিকা পেতে শুরু করেছি।”
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ পেলেও অনেকে দ্বিতীয় ডোজ না পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এ মাসেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা এসে যাবে। আসার পরপরই দ্বিতীয় ডোজ যারা পায়নি তাদের দেওয়া হবে।
“যেহেতু আমরা সেটি করি না, সে কারণে লকডাউনের মতো কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়।”
সবাই স্বাস্থ্যবিধিগুলো সঠিকভাবে মানলে ও সঠিকভাবে মাস্ক পরলে সংক্রমণ অনেকখানি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হতো বলে তিনি মনে করেন।
তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানার অনুরোধ জানান।
পরিদর্শনকালে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু জানান, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ, এসকে হাসপাতাল এবং সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থাপিত তিনটি কেন্দ্রের ১২টি বুথে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ অডিটরিয়ামে সিটি করপোরেশন আয়োজিত গণটিকা কর্মসূচি পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. ফজলুল কবীর, জাতীয় পুষ্টি সেবার লাইন ডিরেক্টর এস এম মুস্তাফিজুর রহামান, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. চিত্তরঞ্জন দেবনাথ, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এইচ কে দেবনাথ, মেডিকেল অফিসার ডা. রেদাউর রহমান খান প্রমুখ।