হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, মঙ্গলবার সকাল ৬টার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড ইউনিটে ১৯ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে আটজন আক্রান্ত ছিলেন; আর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ১১ জন।
এছাড়া চলতি মাসের প্রথম দিন থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত তার হাসপাতালে কোভিড পরবর্তী জটিলতায় ১২ জন মারা গেছেন। যাদের মধ্যে শেষ দুইদিনে মত্যু হয়েছে পাঁচজনের।
তিনি বলেন, “করোভাইরাসমুক্ত হয়ে পরবর্তী জটিলাতায় মারা যাওয়া সবার বয়স পঞ্চাশোর্ধ্ব। তারা সবাই ফুসফুসে ইনফেকশনসহ নানা জাটিলতায় ভুগছিলেন।”
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার পুঠিয়া চারআনি এলাকার অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আক্তার হোসেন খান করোনাভাইরাস নেগেটিভ হ্ওয়ার দুদিনের মাথায় মারা যান পরবর্তী জটিলতা নিয়ে।
শামীম বলেন, ৬৩ বছর বয়সী আক্তার হোসেন গত ১৯ জুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। একদিন পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।
“এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৭ জুলাই দ্বিতীয়বার নমুনা পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ আসে। কিন্তু তার ফুসফুসে ইনফেকশন হয় এবং তা ছড়িয়ে পড়ায় তার মৃত্যু হয়।”
কোভিডমুক্ত হওয়ার পর পরবর্তী জটিলতায় আক্তারের বড়ভাই দেলোয়ার হোসেনও (৬৫) তার রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে জানান পরিচালক।
তিনি বলেন, “কোভিড পরবর্তী জটিলতায় যারা মারা যাচ্ছেন, তাদের বেশির ভাগই মূলত আগে থেকেই নানা ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন। ফলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর তাদের জটিলতা আরও বেড়ে যায়।
“বিশেষ করে যাদের নিয়ন্ত্রণহীন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা, অ্যাজমা, ক্যান্সার কিংবা বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতা রয়েছে তাদের ঝুঁকি আরও বেশি।”