জাবিতে ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের অভিযোগ, বিচার দাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের অভিযোগ ওঠার পর দোষীদের শাস্তি দাবি করেছে ছাত্র ইউনিয়ন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 July 2021, 04:53 PM
Updated : 11 July 2021, 04:53 PM

রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যায় সংসদ এই দাবি জানায়।

সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তুষার ধর ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একজন নারীর পোশাক নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করা নিঃসন্দেহে নিচু মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। দুই জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী কর্তৃক একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন শিক্ষার্থীর লাঞ্ছিত হওয়া অত্যন্ত লজ্জাজনক ও গর্হিত কাজ।

বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের যথাযথ শাস্তির দাবি জানানো হয়।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখাও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একই দাবি জানিয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এক ছাত্রী এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

এই দুই ছাত্র হলেন রসায়ন বিভাগের স্নাতকোত্তরের দেলোয়ার হোসেন ও মার্কেটিং বিভাগের স্নাতকোত্তরে আবুল কালাম আজাদ।

দেলোয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন সংসদের সহ-সভাপতি এবং শাখা ছাত্রলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক। তারা দুজনেই মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র।

অভিযোগকারী ছাত্রী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) জরুরী প্রয়োজনে আমি ও আমার এক বন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের দিকে যাওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌরঙ্গী এলাকায় দেলোয়ার ও আজাদ তার পথরোধ করে এবং তার পোশাক সম্পর্কে অশ্লীল কথাবার্তা বলে।

“সাথে সাথে আমি ও আমার বন্ধু এর প্রতিবাদ করি। এরপর চলে যাওয়ার সময় মটরসাইকেল দিয়ে আবার সামনে এসে পথরোধ করে এবং দ্বিতীয়বারও আমার পোশাক নিয়ে অশ্লীল কথা বলে।”

তিনি রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের কাছে একটি অভিযোগপত্র দেন; প্রক্টর বলেছেন, ক্যাম্পাস খুললে অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হবে, বলেন তিনি।

এই ব্যাপারে দেলোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওইদিন রাতে এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি; আমি কিছুই জানি না। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার ব্যাপারে এসব অভিযোগ করা হয়েছে।”

আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে কয়েকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও যোগাযোগ করা যায়নি।

ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ. স. ম. ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, “অভিযোগটি আমরা গুরুত্বের সাথে নিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ আছে; ফলে আমরা এই মুহূর্তে অভিযোগটি নিয়ে কাজ করতে পারছি না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় খুললে আমরা এটি নিয়ে কাজ করব এবং অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারী উভয়ের বক্তব্য শুনব।”