“এটি কোনো রাজনৈতিক নির্বাচন নয়; এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন, এখানে কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রয়োজন নেই ।”
শ্যামপুর চিনিকল শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দাবি
বকেয়া বেতন-ভাসাসহ কয়েকটি দাবিতে রংপুরের শ্যামপুর চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীরা সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ করেছেন।
Published : 11 July 2021, 02:42 PM
Updated : 11 July 2021, 02:42 PM
শ্যামপুর সুগার মিলস্ এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের নেতারা রোববার বদরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুরে চিনিকলের মূল ফটকের সামনে এই সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ করেন।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে স্থায়ী ও মৌসুমী শ্রমিক-কর্মচারীদের পাঁচ মাসের বকেয়া বেতন, উৎসব ভাতা এবং অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের গ্রাচুইটি ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা প্রদান।
সংবাদ সম্মেলনে শ্যামপুর সুগার মিলস্ এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান বলেন, মৌসুমী শ্রমিক-কর্মচারীরা গত ঈদুল ফিতরের কোনো উৎসব ভাতা তারা পাননি। সেই সঙ্গে পাঁচ মাসের বকেয়া বেতন না পেয়ে শ্যামপুর চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
তিনি আরও বলেন,সরকারি সিদ্ধান্ত অনুসারে শ্যামপুর চিনিকলের মিলে মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এই শিল্পের উপর নির্ভরশীল শ্রমিক, কর্মচারী-কর্মকর্তা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও আখচাষি বেকার-যুবক, কুলি-মজুরদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।
সংবাদ সম্মেলন শেষে চিনিকল ফটকে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শ্যামপুর চিনিকল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি আক্তারুল বাদশা।
তিনি বলেন, মাড়াই স্থগিতকৃত শ্যামপুর সুগার মিলে স্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারীদের পাঁচ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। মৌসুমী শ্রমিক কর্মচারীদের সরকারি নিয়ম-নীতি অনুসরণপূর্বক নিয়োগ প্রদান করার পরবর্তী সময়ে বেতন-বোনাসসহ বিভিন্ন সুবিধাদি প্রদান করা হলেও গত ঈদুল ফিতরে উৎসব ভাতা দেওয়া হয়নি।
তিনি আসন্ন ঈদুল আযহারিআগে সকল শ্রমিক কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ও পাঁচ মাসের বকেয়া বেতন পরিশাধের জোর দাবি জানান।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন শ্যামপুর চিনিকল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আব্দুল সাত্তার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বুলু আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম মন্ডল, অর্থ সম্পাদক আনিসুল ইসলাম, শ্রম ও কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক লিটন মিয়া, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সম্পর্কিত খবর
“ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তারা কালামের হাত-পা ও মুখ বেঁধে মারধর করে।”
“আমরা এই দেশে বসবাস করতেছি সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে। অপরাধী যেই হোক, তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
“কাজের কারণে আমাদের বের হতে হচ্ছে। অতীতে এরকম গরম দেখি নাই।”
