এই সংগঠনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বলেন, প্রাথমিকভাবে ৫০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ‘বন্ধুমহল’ অক্সিজেন ব্যাংক সেবা শুরু করেছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিলিন্ডারের সংখ্যা বাড়িয়ে ১শ করা হবে।
তারা গোপালগঞ্জের পাঁচটি উপজেলায় এই সেবা পৌঁছে দিচ্ছেন বলে জানান।
বন্ধুমহলের সমন্বয়ক গাজী তুষার আহমেদ বাঘা বলেন, বন্ধুমহলের রয়েছে অন্তত ৩০টি হেল্পলাইন নম্বর। ওই নম্বরে ফোন করলেই পৌঁছে যাচ্ছে অক্সিজেন। এছাড়া রোববার থেকে ২৫টি অক্সিমিটারের মাধ্যমে রোগীর অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপ করছেন বন্ধুমহলের বন্ধুরা।
ইতিমধ্যে সংগঠনটি ৪৭ জন করোনা রোগীর বাড়িতে গিয়ে অক্সিজেন সার্পেট দিয়েছে বলে তুষার জানান।
“এদের কথা মাথায় রেখে আমরা সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করার জন্য গত ৫ জুলাই থেকে এই অক্সিজেন সেবা চালু করেছি।”
তিনি বলেন, আশঙ্কাজনক রোগীদের জন্য তারা একটি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস রেখেছেন। এতে জেলার মধ্যে করোনা রোগীদের বিনা খরচে বহন করা হবে। জেলার বাইরে গেলে তেল খরচ দিতে হবে।
তিনি জানান, জেলার পাঁচ উপজেলার ৬৮ ইউনিয়ন ও চার পৌরসভায় সমন্বয়কসহ স্বেচ্ছাসেবীদের ০১৬৭৩৩০৯৬০৬, ০১৭১২৯৪৫২, ০১৮৬০৪২৪২৪২ এই তিনটিসহ মোট ৩০টি হেল্পলাইন নম্বর দেওয়া আছে। যাদের প্রয়োজন হবে কল করলেই অক্সিজেন পৌঁছে যাবে তাদের বাড়ি।
নিলুফা বেগম ও শামীমা আক্তার জানান, শ্বাসকষ্টে অস্বস্তিতে পড়েছিলেন তারা। বন্ধুমহলের অক্সিজেন সেবা পেয়ে স্বস্তি পাচ্ছেন। কষ্ট অকনেকটাই কমেছে।
বন্ধুমহলের উদ্যোক্তা সদর উপজেলার গোবরা ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান চৌধূরী টুটুল বলেন, “করোনায় শ্বাসকষ্টের রোগীদের পাশে দাঁড়াতে আমরা অক্সিজেন সিলিন্ডার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছি। এতে গ্রামের সাধারণ মানুষ শ্বাসকষ্ট থেকে স্বস্তি পাচ্ছেন।”