জেলা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার এস এম সাকিবুর রহমান রোববার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় [শনিবার ভোর ৬টা থেকে রোববার ভোর ৬টা পর্যন্ত] জেলায় করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৬৫.৮২ শতাংশ।
তিনি জানান, এর আগের ২৪ ঘণ্টায় [শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে শনিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত] ২২৯টি নমুনা পরীক্ষায় ১৪৫ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল; শনাক্তের হার ছিল ৬৩.৩২ শতংশ।
[বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত] ৩৬৭টি নমুনা পরীক্ষায় ১৫৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে; শনাক্তের হার ছিল ৪২.৭৭ শতাংশ।
[বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত] ২১৩ নমুনা পরীক্ষায় ১২৬ জনের করোনা পজেটিভ হয়; শনাক্তের হার ছিল ৫৯.১৫ শতাংশ।
ডা. এস এম সাকিবুর রহমান বলেন, জুন মাসে গোপালগঞ্জে করোনা শনাক্তের হার ছিল ৩৩ শতাংশ। গত ৪ জুলাই জেলায় সর্বোচ্চ শনাক্ত ছিল ৬৭.৬১ শতাংশ। জুলাই মাসেই সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পায়।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, জেলায় এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ৫১২টি নমুনা পরীক্ষায় ৬ হাজার ১২৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৭০০ জন।
“গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে এসেছেন ৯৩ জন; হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩৪ জন; হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬২ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৬৯৮ জন।”
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও দুই জন মারা গেছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় ৬৯ জন প্রাণ হারিয়েছে।