পীরগঞ্জ থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় বলেন, গত শুক্রবার সকালে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নে দেহানাগড় ডাঙ্গীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত আজিম উদ্দীন (৯০) এবং কুলসুম বেগম (৭০) পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অপরদিকে তাদের বড় ছেলে কফিল উদ্দীন, কফিলের ছেলে মানিক ও মুক্তাও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এলাকাবাসীর বরাতে ওসি প্রদীপ কুমার রায় জানান, দীর্ঘদিন ধরে বৃদ্ধ আজিম উদ্দীনের জমি নিয়ে তার সন্তানদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এছাড়াও এ জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে।
তিনি বলেন, “শুক্রবার সকালের ঐ জমিকে কেন্দ্র করে কফিল উদ্দীন ও রফিকের মধ্যে মারপিট হয়। হয়তো বৃদ্ধ বাবা মা বাধা দিতে গেলে তারাও আহত হয়েছে।”
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। উভয় পক্ষকে থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেন তিনি।
আহত আজিম উদ্দীনের ছোট ছেলে রফিক ইসলাম জানান, শুক্রবার সকালে বড় ভাই ও তার দুই ছেলে মানিক, মুক্তা জোরপূর্বক জমি দখল করার চেষ্টা করে। এতে বাবা ও মা বাধা দেয়।
“এরপর বড় ভাই ও তার দুই ছেলে আমার বাবা মাকে বেধড়ক লাঠিপেটা করে আহত করে।”
এ অভিযোগ অস্বীকার করে কফিল উদ্দিন বলেন, সকালে জমিতে আমি আমন ধানের চারা রোপন করতে যাই। এ সময় আমার বাবা ও মা জমিতে আসে। পেছন থেকে ছোট ভাই রফিক ও তাই বউ আমাদের বাধা দিলে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
“এক পর্যায়ে তারা সবাই মিলে আমাকে এবং আমার ছেলে মানিক, মুক্তাকে মারপিট করে আহত করেছে।”
তিনি জানান, তার মাথা আটটি সেলাই রয়েছে। মানিকের হাত ভেঙে গেছে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
“এখন উল্টো তারা আমাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করছে।”
হাজীপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “অনেক দিন ধরেই জমি নিয়ে আজিম উদ্দীন ও তার সন্তানদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি সমাধানের জন্য চেষ্টা করছিলাম কিন্তু করোনায় লকডাউনের কারণে বিষয়টি সমাধান করা হয়নি।”