শনিবার সকালে নীলফামারী পৌর শহরের নীলকুঞ্জ পাড়ায় ওই বাড়ির প্রবেশ পথে বান্দা থেকে রক্তাক্ত মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত হোসেন আলী যাদু (৫৫) এ এলাকার সৈয়দ আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪৫), দুই ছেলে মতিয়ার রহমান (৩০), রশিদুল ইসলাম (২৬) এবং পুত্রবধূ স্বপ্না বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ।
নীলফামারী সদর থানার পরিদর্শক আব্দুর রউপ বলেন,“হত্যাকাণ্ডটি রহস্যজনক। কে বা কারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার বাম হাতের কনুই কেটে তাকে হত্যা করেছে।”
বাড়ির প্রবেশ পথে বারান্দায় বাম হাতের কনুইয়ে আঘাত পাওয়ায় রক্তক্ষণে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ভোরে ৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। নিহতের স্ত্রী, দুই সন্তান এবং এক পুত্রবধূকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পরিবারের দাবি, শুক্রবার গভীর রাতে হত্যার সময় পরিবারের অন্য সদস্যরা ঘুমিয়ে ছিল। রাত সাড়ে তিনটার দিকে তারা প্রথম টের পায়।
নিহতের স্ত্রী সুফিয়া বেগম বলেন,“প্রতিবেশী শাহিনুর আলমের কাছে আমাদের এ বাড়ি সাড়ে নয় লাখ টাকায় বিক্রি করেন আমার স্বামী হোসেন আলী যাদু। ওই বাড়ি ছেড়ে শনিবার আমাদের পাঁচশ মিটার দূরে আরেক বাড়িতে ওঠার কথা ছিল। শুক্রবার দুপুরে এ নিয়ে আমার স্বামীর সঙ্গে শাহিনুরের কথা কাটাকাটি হয়।
“রাতে আমি ঘুম থেকে জেগে দেখি বিছানায় আমার স্বামী নেই। পরে ঘর থেকে বের হয়ে বারান্দায় স্বামীকে পড়ে থাকতে দেখে ছেলেদের ডাকি। ছেলেরা প্রতিবেশীদের খবর দেয়।”
তবে বাড়িটির ক্রেতা শাহিনুর আলম বলেন,“শুক্রবার যাদুর সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটির কোনো ঘটনা ঘটেনি।”
এলাকাবাসী জানায়, ক্রেতাকে বাড়ি বুঝিয়ে দিতে শুক্রবার এ বাড়ি থেকে মালামাল নতুন বাড়িতে নিয়েও যায়। তবে রাতে তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ পুরতান বাড়িতে ছিলেন।
রাতে তারা ওই বাড়ি থেকে ‘কোনো চিৎকার বা কান্নাকাটির শব্দ পাননি’।
সুরহতাল প্রতিবেদন করে সকালে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।