এই ঘটনায় শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের শিক্ষানবিস চিকিৎসকরা শুক্রবার রাত থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন।
শুক্রবার রাতে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটেছে।
আহত গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের শিক্ষানবিস চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাহমিদ তানজিম আবির ও শিক্ষানবিস চিকিৎসক আলমগীর হোসাইনকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের শিক্ষানবিস চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহত তাহমিদ তানজিম আবির বলেন, “এ ঘটনার প্রতিবাদে আমরা শুক্রবার রাত ৯টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছি।”
“শুক্রবার তানভির চিকিৎসকে ডাকতে গেলে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এরপর রাত ৮টার দিকে ওই দুই চিকিৎসক হাসপাতাল থেকে নাস্তা করতে বের হলে ৫/৭ জন লোক লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।”
গোপালগঞ্জ বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, “রাতের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা না হলে আমরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করব।”
এ ব্যাপারে তানভির বলেন, “ডাক্তারদের রুমের পাশে বসে আমি মোবাইলে গেম খেলছিলাম। চিকিৎসকদের ওয়েটিং রুমের আপত্তিকর দৃশ্য আমি মোবাইলে ধারণ করেছি সন্দেহে চিকিৎসকরা আমরা বোবাইল কেড়ে নিয়ে মোবাইলের সব কিছু মুছে ফেলেন। তারপর আমাকে তারা চর-থাপ্পড় মারেন।”
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. মনিরুল ইমসলাম বলেন, “অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে আমরা অভিযান শুরু করেছি। এছাড়া ডিবি পুলিশও মাঠে নেমেছে। রাতের মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তারে আমি নিজেও অভিযানে অংশ নিচ্ছি।”