করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বহু কর্মহীন মানুষের দরিদ্র পরিবার এবার বন্যায় নতুন করে বিপাকে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, বৃহস্পতিবার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে; তবে শুক্রবার বিকাল ৩টায় পানি কমে বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাটের সবগুলো খুলে রাখা হয়েছে।
প্লাবিত এলাকাগুলো হলো আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের চৌরাহা, দক্ষিণ বালাপাড়া, কুটিরপাড়, চরগোবরধন, সদরের খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা, হাতীবান্ধার ডাউয়াবাড়ি, সানিয়াজান ও গড্ডিমারী ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল।
মহিষখোছা ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাপাড়া গ্রামের স্বপ্না বেগম বলেন, তার স্বামী রিকশা চালান, লকডাউনের কারণে কামাই বন্ধ। অন্যদিকে বন্যায় বাড়িতে স্থান নাই।
“আমরা গরীব মানুষ হামার দুইদিকে মরন। কোনো মেম্বার, চেয়ারম্যান হামার খোঁজও নেই না।”
মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মতিয়ার রহমান মতিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ইউনিয়নে ৪শ মানুষের জন্য সহায়তা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেই বরাদ্দ থেকে আমার ওয়ার্ডে ৩০ জনকে স্লিপের জন্য নেওয়া হয়েছে। এত বড় এলাকায় ৩০টি স্লিপ কী হয়?”
ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হামিজার রহমান বলেন, “আমার পুরো ওয়ার্ড ডুবে গেছে। যে ৩০টি স্লিপ পেয়েছি তা বিতরণ করতে খুব সমস্যা হয়েছে। তাই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে যদি স্লিপ দেওয়া হতো তাহলে মানুষজনের উপহার হতো।”
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বলেন, ভোর রাত থেকে পানি কমতে শুরু করায় এখন বিপদসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর বলেন, পানিবন্দি পরিবারগুলোর ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখা হচ্ছে।