ছেলেকে আটকাল পুলিশ, অক্সিজেন আনার আগে বাবার মৃত্যু

সাতক্ষীরায় অক্সিজেন সিলিন্ডার আনার আগে শ্বাসকষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে, যার ছেলেকে পথে পুলিশ ‘দীর্ঘক্ষণ’ আটকে রেখেছিল বলে ওই যুবকের অভিযোগ।

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 July 2021, 04:57 PM
Updated : 8 July 2021, 04:57 PM

বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার ইটাগাছা হাটের মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় সাতক্ষীরা সদরের ইটাগাছা ফাঁড়ির এএসআই সুভাষচন্দ্রকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

তবে এএসআই সুভাষচন্দ্র ওই যুবককে ‘দীর্ঘক্ষণ’ আটকে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

করোনাভাইরাসে উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া মো. রজব আলী মোড়ল (৬৫) সদর উপজেলার বৈচনা গ্রামের বাসিন্দা।

রজব আলীর ছেলে ওলিউল ইসলাম বলেন, দুপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ বাবার জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার আনতে তিনি মোটরসাইকেলে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকায় যাচ্ছিলেন। পথে ইটাগাছা হাটের মোড়ে তাকে আটক করেন ইটাগাছা ফাঁড়ির এএসআই সুভাষচন্দ্র।

“লকডাউনে বাইরে বেরিয়েছি বলে সুভাষ আমার কাছে এক হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু এই টাকা দিতে না পারায় আমাকে তিনি ‘দুই ঘণ্টা’ সেখানে আটকে রাখেন।”

ওলিউল বলেন, দুই ঘণ্টা পর এএসআই সুভাষ মোটরসাইকেল রেখে দিয়ে ওলিউলকে ছাড়েন পরে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুত নিয়ে।

তিনি বলেন, পরে তিনি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ফেরার পথে ইটাগাছা এলাকার এক ব্যক্তির মধ্যস্থতায় এএসআই সুভাষকে ‘২০০ টাকা নিয়ে’ মোটরসাইকেল ফেরত পান এবং সিলিন্ডার নিয়ে বাড়ি যান।

সিলিন্ডার নিয়ে বাড়ি ফেরার আগে বাবা মারা গেছেন বলে জানান ওলিউল।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, “যদি সময়মতো অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে বাড়িতে যেতে পারতাম তাহলে হয়তো বাবাকে বাঁচানো যেত।”

তিনি এই ঘটনার বিচার দাবি করেন।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সুভাষচন্দ্র বলেন, “বেপরোয়া গতিতে আসছিল মোটরসাইকেলটি। কাগজপত্রও ছিল না। পরে ঘটনা শুনে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মাত্র ২/৩ মিনিট মোটরসাইকেলটি থামিয়ে রাখা হয়েছিল।”

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি দেলোয়ার হুসেন বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। এ সম্পর্কে তদন্ত চলছে। এএসআই সুভাষকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে নিয়ে আসা হয়েছে।”