বুধবার মধ্যরাতে উপজেলার খঞ্জনপুর (রামরামপুর) গ্রাম ও কোচকুড়িলিয়া গ্রামে পৃথক এই দুই ঘটনা ঘটে।
মৃত সিদ্দিকা খাতুন (৩৫) খঞ্জনপুর (রামরামপুর) গ্রামের হাসমত আলীর স্ত্রী এবং অসুস্থ খোতেজা খাতুন কোচকুড়িলিয়া গ্রামের মৃত মহিউদ্দীনের স্ত্রী।
স্বজনদের বরাত দিয়ে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুল মালেক জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিদ্দিকা খাতুন শয়ন ঘরে সন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন।
ডা. মালেক বলেন, এরপর তার চিৎকার-চেঁচামেচিতে পরিবারের লোকজন এসে স্থানীয় কয়েকজন ওঝার কাছে নিয়ে ঝাঁড়ফুক করান। কিন্তু তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হলে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনেন স্বজনরা। তখন চিকিৎসক সিদ্দিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ডা. মালেক আরও জানান, কোচকুড়িলিয়া গ্রামের খোতেজাকেও ঘুমন্ত অবস্থায় সাপে ছোবল দেয়; এবং রাত ৪টার দিকে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।
তিনি জানান, অবস্থা খারাপ হলে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তাকে রাজশাহী মেডিকেলে পাঠানো হয়।
সাপাহার থানার ওসি তারেকুর রহমান সরকার জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে সাপেড় কামড়ে মৃত্যু ও অসুস্থের ঘটনায় স্বজনদের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।