বুধবার দুপুরে পৌরসভা কার্যালয়ে এই চালসহ খাদ্যসামগ্রী শতাধিক পরিচ্ছন্নতা কর্মীর মাঝে বিতরণ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে করোনাকালে অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, সম্প্রতি দরিদ্রদের মাঝে বিতরণের জন্য জেলা প্রশাসক রায়পুর পৌরসভায় সাড়ে ৪ মেট্টিক টন চাল বরাদ্দ দেন। এছাড়া সরকার থেকেও দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয় হয়। ছয়শ মানুষের মাঝে এগুলো বিতরণ করা হবে। চালের সঙ্গে ডাল, তেল, চিনি, মুড়িও রয়েছে।
পৌর এলাকার নতুন বাজারের পরিচ্ছন্নতা কর্মী বিউটি আক্তার ও নাজমা বেগম বলেন, বিতরণ করা চাল দুর্গন্ধযুক্ত আর পোকায় ভরা। তারা হাঁস-মুরগিকেও এর চেয়ে ভালো চাল খাবাব হিসেবে দেন।
লকডাউন আর বৃষ্টির মধ্যে কষ্ট করে গিয়ে তারা ‘পচা’ চাল পান বলে জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা (ওসি-এলএসডি) মো. মহসিন বলেন, “পৌরসভায় সরবরাহ করা চালগুলো এক বছর আগের। এজন্য পোকা-দুর্গন্ধ হতে পারে। মেয়র বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিন জন ইউপি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ওসি-এলএসডি মহসিন বিভিন্ন প্রকল্পের চাল কম দামে তাদের কাছ থেকে কিনে রাখেন। পরে সরকারিভাবে চাল সংগ্রহ শুরু হলে তিনি বেশি দামে ওই চালগুলো ক্রয় দেখান।
রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট বলেন, “বরাদ্দের অর্ধেক প্যাকেট করার পর আমি জেনেছি চালে দুর্গন্ধ। বিষয়টি আমি ওসি-এলএসডিকে জানিয়েছি।”
চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাটের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনের সংসদ সদস্য নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন রায়পুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ, সাবেক চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন হাওলাদার, সদর থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী প্রমুখ।