সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের পাঙ্গাসিয়া গ্রামে মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগে বলা হয়।
মারিয়া নামের তিন মাস বয়সী এই শিশু পাঙ্গাসিয়া গ্রামের রিকশা চালক মো. মঞ্জুর আলমের মেয়ে।
বুধবার দুপুরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে শিশুটির বাবা মঞ্জুর আলম ও মা শাহনাজ বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
পশ্চিম ইলিশা ইউপি চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. সেলিম হাওলাদার জানান, সকালের দিকে তারা খবর পেয়ে মঞ্জুর আলমের বাড়ি যান।
মঞ্জুর স্ত্রী শাহনাজ বেগমের বরাত দিয়ে চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন জানান, মেয়েসহ স্বামী-স্ত্রী রাতে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আড়াইটার দিকে চার জন ডাকাত মুখোশ পরে তাদের ঘরে ঢোকে।
“ডাকাতরা শাহনাজ বেগমের হাত, পা ও মুখ বেঁধে ফেলে রাখে। এ সময় তার মেয়ে কান্না করলে ডাকাতরা তাকে ঘরের দরজা খুলে পুকুরে ফেলে দেয়।”
গিয়াস উদ্দিন বলেন, পরে ডাকাতরা ঘরে থাকা নগদ ১৩শ টাকা এবং চেইন, কানের দুলসহ প্রায় এক ভরি স্বর্ণাঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তার স্বামীর ঘুম ভাঙলে তাকে বিষয়টা জানান শাহনাজ।
ডাকাতদের চিনতে পারেনি বলে শাহনাজ বেগম জানিয়েছেন।
চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন আরও বলেন, খবর শুনে তিনি পুলিশে খবর দেন। বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে।
ভোলা মডেল থানার ওসি মো. এনায়েত হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
ঘটনা তদন্তের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করতে শিশুটির বাবা মঞ্জুর আলম ও মা শাহনাজ বেগমকে থানা নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।