জেলার গাজুটিয়া-সিঙ্গুরিয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হামিদ আলীর অনার্স পড়ুয়া মেয়ে হামিদা আক্তার মূলত এদুটির দেকভাল করেছেন।
মিষ্টি আলু ও কলা মানিক-রতনের প্রিয় খাবার বলে জানান হামিদা আক্তার। এছাড়া এদের নিয়মিত খাবারের তালিকায় রয়েছে খড়, ভুষি, কাঁচা ঘাস, মালটা, পেয়ারা, কলা এবং মিষ্টি কুমড়াও।
দুটি সিলিং ফ্যান আর মশারি টানানো ঘরে চার বছরের লালন-পালনে ‘৩৬ ও ৩৫ মণ’ ওজন হওয়া ষাঁড় দুটির প্রসঙ্গে হামিদা বলেন, মানিক-রতনকে গত কোরবানিরতেও বিক্রি করিনি।
তবে করোনাভাইরাসের কারণে প্রতিদিন সাবান ও শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করানো ষাঁড়ের ‘ন্যায্য দাম’ পাওয়া নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা বাড়ি থেকেই তাদের বিক্রি করার চেষ্টা করছি। সেক্ষেত্রে আমাদের খরচে তাদের ক্রেতার বাড়িতে পৌছে দেব।”
ভালো দামে বিক্রি হলে সে টাকায় খামার গড়ার ইচ্ছা তার।
নাগরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা ডা. সোহেল রানা জানান, এবারের কোনবানিরকে সামনে রেখে এলাকার বেশ কয়েকজন খামারি কিছু বড় ষাঁড় প্রস্তুত করেছে। তার মধ্যে গাজুটিয়া এলাকার হামিদ মাস্টারের মানিক-রতন অন্যতম।
তিনি জানান, করোনাভাইরাসের কারণে এ উপজেলার প্রাণী সম্পদ অফিসের মাধ্যমে ‘অনলাইন কোরবানির হাট নাগরপুর’ নামে একটি পেজ খুলেওছেন। সেখানে খামারীরা তাদের গরু-ছাগর বিক্রি করতে পারবেন।
গাজুটিয়া-সিঙ্গুরিয়া গ্রাম টাঙ্গাইলের নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায়। আর ৩৬ মণ ওজনের মানিককে ১৪ লাখ টাকায় আর ৩৫ মণ ওজনের রতনকে ১৩ লাখ টাকায় বিক্রির আশা এই স্নাতক ছাত্রীর।