তাছাড়া উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও ১৫ জন। মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় তারা মারা যান বলে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান।
তিনি বলেন, তাদের মধ্যে ১০ জনই রাজশাহীর। অন্যদের মধ্যে নাটোর ও নওগাঁর দুইজন করে, চাঁপাইনবাগঞ্জ, পাবনা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও জয়পুরহাটের একজন করে রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ আর ছয়জন নারী। তাদের ১১ জনের বয়স ৬১ বছরের ওপরে। অন্যদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের একজন আর ২১ থেকে ৩০ বছরের বয়সের একজন রয়েছেন।
শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৬ জন। একই সময় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৭৩ জন। মঙ্গল সকাল পর্যন্ত ৪৫৪ বেডের বিপরীতে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৪৮৯ জন। আইউসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন ১৯ জন।
জেলায় লকডাউনে আইন-শৃংখলা বাহিনীর কড়াকড়ি অবস্থানের মধ্যে কিছুটা বেড়েছে মানুষের চলাচল। রাস্তায় দেখা গেছে আগের চেয়ে বেশি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও ব্যক্তিগত যানবাহন। তবে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে কৈফিয়ত দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের।
রাজশাহীর নির্বাহী ম্যাজিস্টেট আবু আসলাম বলেন, কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি রাজশাহীতে ১১ প্লাটুন সেনা, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন। এছাড়া মাঠে রয়েছে ২২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
তিনি জানান, সোমবার লকডাউনের বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ৮৭ জনের বিরুদ্ধ মামলা করে ৭৬ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।