সোমবার রাঙামাটির সিভিল সার্জন অফিসের করোনা বিষয়ক ফোকাল পার্সন ডা. মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ জন শনাক্ত হয়েছে; যা ‘রাঙামাটিতে একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড’।
“রাঙামাটিতে এখন সংক্রমণের হার প্রায় ৩০ শতাংশ।”
জেলায় মানুষের অসচেতনতার কারণে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টটি ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করছে বলে মনে করছেন তিনি।
“এ ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত ছড়াচ্ছে। সবার প্রতি স্বাস্থ্যবিধি মানার অনুরোধ করছি”যোগ করেন তিনি।
সোমবার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুসারে জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮২৮ জন, যাদের মধ্যে মারা গেছেন ১৯ জন।
চলতি জুলাই মাসের প্রথম পাঁচ দিনের এ জেলায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ জুলাই ২৬ জন, ৩ জুলাই ২৫ জন, ৪ জুলাই ২৫ জন এবং ৫ জুলাই ৩০ জুন; মোট ১০৬ জন।
রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা বলেন, সারাদেশেই হঠাৎ করে এ ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। এটির বিস্তার ক্ষমতাও বেশি। আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতিও রেখেছি।
তবে মানুষের টেস্ট করানোয় অনাগ্রহ এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানাকে বড় চ্যালেঞ্জ বলছেন তিনি।
সীমান্তবর্তী উপজেলা প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন বলেন, “রাঙামাটির সীমান্তবর্তী ভারতীয় রাজ্যগুলিতে কোভিড পরিস্থিতি মোটামুটি ভালো এবং আমাদেরও বরকল ও বাঘাইছড়ি উপজেলাও তুলনামূলকভাবে নিরাপদ আছে।“
জেলার টিকাদান কর্মসূচি
সিভিল সার্জন জানান, সেরামের তৈরি কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নিয়ে যারা দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় আছেন, কোনো নির্দেশনা না আসায় তাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে।
তবে চীনের সিনোফার্মার টিকা আসার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “আগে রেজিস্ট্রেশন করেছে কিন্তু কোনো টিকাই পাননি, এমন ব্যক্তিদের দিচ্ছি। তাদের দেওয়া শেষ করব আগে।”
নতুন করে টিকার রেজিস্ট্রেশন বন্ধ আছে বলেও জানিয়েছেন জেলার এ শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
রাঙামাটি জেলায় এ যাবৎ করোনার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৩৩ হাজার ১৮৬ জন। তাদের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১৮ হাজার ৮৮১ জন।