সোমবার দুপুরে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার ধনকুরাইল গ্রামে গ্রেপ্তার করে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার তারা বানু (৪৮) ওই গ্রামের সুলতান কাজীর (৫০) দ্বিতীয় স্ত্রী।
এ ঘটনায় করা মামলার অপর আসামি সুলতান কাজী এবং তারা বানুর প্রথমপক্ষের ছেলে মোস্তফা পলাতক রয়েছেন।
ক্ষেতলাল থানার ওসি নীরেন্দ্রনাথ মন্ডল জানান, মামলার পরপরই তারা বানুকে গ্রেপ্তার করে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
নির্যাতিত গৃহবধূ বিউটি খাতুন জানান, গত রোববার রাতে তার স্বামী বাড়ি থেকে আসবাবপত্র নিয়ে স্থায়ীভাবে সতীন তারা বানুর বাড়ি যেতে চাইলে তিনি বাধা দেন। এ সময় তার স্বামী ও সতীন মিলে তার উপর ‘অমানবিক নির্যাতন করে এবং মাথার চুল কেটে দিয়ে সৌন্দর্য নষ্ট করে দেন’।
দুপুরে বিউটির বাবা মোখলেছার রহমান বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় সুলতান কাজী, তারা বানু এবং তারা বানুর প্রথমপক্ষের ছেলে মোস্তফাকে আসামি করে মামলা করেন।
বিউটি খাতুনের মেয়ে সীমা খাতুন (২২) বলেন, “আমার বাবার সাথে বিয়ে হওয়ার আগে তারা বানুর আরও দুটি বিয়ে হয়।
“আমার বাবা তিন মাস পূর্বে তারা বানুকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই মায়ের উপর নির্যাতন চালাতে থাকে।”