তার পরিবারের সদস্যরা বলছেন, মহামারী নিয়ন্ত্রণের লকডাউনের মধ্যে কাজ না থাকায় অভাবের কারণে ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিশ বলছে, স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ওই ব্যক্তি গলায় ফাঁস দেন।
রোববার দুপুরে সদর উপজেলার পশ্চিম মুক্তারপুর এলাকার একটি বাসা থেকে দ্বীন ইসলামের (২৫) নামে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা দ্বীন ইসলাম মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে মুক্তারপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকছিলেন।
তার মা জুলেখা বেগম বলেন, “লকডাউনে আমার ছেলের কাজ ছিল না। ওর মাইয়া চাইবো একটা রুটি, পোলা চাইবো ভাত। পোলাপানরে ঠিকমত খাবার দিতে পারতাছিল না। এটি নিয়ে সংসারে সমস্যা চলছিল।”
তার স্ত্রী শাহিদা বেগমও সংসারে অভাবের কথা বলেন।
স্থানীয়রা জানায়, লকডাউনের কারণে কাজ না থাকায় দ্বীন ইসলামের সংসারে অভাব- অনটন লেগে ছিল। এ নিয়ে সংসারে ঝগড়াঝাটিও চলছিল। রোববার সকালেও স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া বাঁধে।
এদিকে আত্মহত্যার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য তা মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার কারণে দ্বীন ইসলাম আত্মহত্যা করেছেন।
তার কাজ না থাকার কারণে সংসারে অভাব থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “করোনায় তার কাজ না থাকার বিষয়টি আমার জানা নেই।”