‘মহারাজের’ দাম হাঁকা হয়েছে  ১৩ লাখ টাকা

বরগুনার বেতাগীতে কোরবানির জন্য গড়ে তোলা `৩০ মণ’ ওজনের একটি ষাঁড়ের দাম হাঁকা হয়েছে ১৩ লাখ টাকা।

বরগুনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 July 2021, 06:01 PM
Updated : 4 July 2021, 06:02 PM

উপজেলার সদর ইউনিয়নের বটতলা গ্রামের হাফিজুর রহমান সোহাগ অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের এ ষাঁড়টিকে চার বছর ধরে লালন-পালন করে আসছেন।

তারই ‘মেসার্স জাহানারা এগ্রো ফার্মেই’ কালো রংয়ের এই ষাঁড়ের জন্ম; নাম রেখেছেন ‘মহারাজ’।

হাফিজুর রহমান জানান, “মহারাজ খুবই শান্ত প্রকৃতির। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরামর্শে সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাওয়ানো হয়েছে। ক্ষতিকর কোনো ওষুধ কিংবা বিকল্প খাবার ছাড়াই মহারাজের ওজন প্রায় ৩০ মণ। এর দাম চাইছি ১৩ লাখ টাকা।” 

করোনার এ সময়ে হাটে মহারাজকে বিক্রি করা নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বলে সোহাগ জানান।

তিনি বলেন, “মহারাজের পেছনে প্রতিদিন অনেক টাকা খরচ হয়। তার নিরাপত্তা দিতেও এখন রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমাদের মতো ছোট খামারির ঘরে এত বড় ষাঁড় রাখাও কঠিন। এ ঈদে মহারাজকে বিক্রি করতে না পারলে আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।” 

সোহাগ জানান, অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় মহারাজের উচ্চতা পাঁচ ফুট এবং দৈর্ঘ্য আট ফুট; ওজন ৩০ মণ বা এক হাজার ২০০ কেজি হবে। প্রতিদিন মহারাজের খাদ্য তালিকায় ৩০ কেজি দানাদার খাবার ও সবুজ ঘাস থাকে। শুধু মহারাজের দেখাশোনার জন্যই খামারে রয়েছে আলাদা একজন লোক।

সোহাগ জানান, দশ বছর আগে ২০১১ সালের শেষের দিকে মাত্র একটি গরু দিয়ে খামার শুরু করেন তিনি। বর্তমানে তার খামারে ১২টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে চারটি ষাঁড় এবার কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। 

ইতেমধ্যে মহারাজের হাঁক-ডাক চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় প্রতিদিনই তাকে দেখতে খামারে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। 

জেলা শহর  বরগুনা থেকে মহারাজকে দেখেতে আসা মোহাম্মদ রফিক উদ্দিন বলেন, “কয়েকজনের কাছে মহারাজের নাম শুনে দেখতে এলাম। এত বড় ষাঁড় দেখে অবাক হয়েছি। 

বেতাগী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, “এ উপজেলায় এই ষাঁড়ই সবচেয়ে বড়। স্থানীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরামর্শে দেশীয় খাবার খাইয়ে ষাঁড়টিকে লালন-পালন করা হচ্ছে। আমরা ষাঁড়টিকে নিয়মিত দেখাশোনা করছি।”