রোববার সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার এস এম সাকিবুর রহমান বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ৭১ নমুনা পরীক্ষা করে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৪১ জনের মধ্যে। তাতে শনাক্তের হার দাঁড়াচ্ছে ৬৭ দশমিক ৬১ শতাংশ। যা আগের দিন ছিল ৫৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
এছাড়া এই সময়ে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. অসিত কুমার মল্লিক জানান।
তিনি বলেন, এদের মধ্যে তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন; আর বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতরা হলেন- পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর গ্রামের পাপিয়া বেগম, একই এলাকার জোবেদা বেগম ও মুকসুদপুর উপজেলার শাজাহান মিয়া।
আর গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার খাগাইল গ্রামের মনির শেখ ও কোটালীপাড়া উপজেলার নৈয়ারবাড়ি গ্রামের বিশ্বনাথ জয়ধর উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে চিকিৎসক অসিত জানান।
সাকিবুর বলেন, গত মে মাসে গোপালগঞ্জে করেনাভাইরাসের সংক্রমণের হার ছিল ১৪.০৭ শতাংশ। জুনে সংক্রমণ বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩ শতাংশে।
“জুলাই মাসের শুরুতে সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ পর্যন্ত গোপালগঞ্জে ২৬ হাজার ৮৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫ হাজার ২৭৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।”
এর মধ্যে ৪ হাজার ৩৩১ জন সুস্থ হয়েছেন আর ৫৯ জন মারা গেছেন বলে জানান তিনি।