রাজশাহী মেডিকেলে করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে; যার মধ্যে একজনের করোনাভাইরাস পজেটিভ ছিল।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, শনিবার সকাল ৬টা থেকে রোববার সকাল ৬টার মধ্যে তারা মারা যান।

এদের মধ্যে একজনের করোনাভাইরাস পজেটিভ ছিল; বাকিরা মারা যান উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায়।

নতুন মারা যাওয়াদের ছয়জনই রাজশাহীর।বাকিদের মধ্যে চাঁপাইনবাগঞ্জের তিনজন, নাটোরের একজন, নওগাঁর একজন ও পাবনার একজন।

মৃতদের মধ্যে আটজন পুরুষ ও চারজন নারী। এদের মধ্যে চারজনের বয়স ৬১ বছরের উপরে। বাকিদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে চারজন এবং ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের চারজন।

এ নিয়ে চলতি মাসের চার দিনে মৃতের সংখ্যা ৬৪ জনে দাঁড়াল। এদের মধ্যে ২৩ জনের করোনাভাইরাস পজেটিভ ছিল বলে রাজশাহী মেডিকেলের পরিচালক জানান।

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৭ জন। একই সময় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৬৪ জন। রোববার সকাল পর্যন্ত ৪০৫ বেডের বিপরীতে চিকিৎসাধীন আছেন ৪৮৫ জন।

বাকি ৮০ জনকে বারান্দা ও মেঝেতে অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আইউসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০ জন।

এদিকে রাজশাহীতে ত্রিশের ঘরে রয়ে গেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার।

শনিবার দুইটি ল্যাবে রাজশাহী জেলার ৪৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৫৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। যা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ। যা আগের দিন শুক্রবার ছিল ২৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার শনাক্তের হার ছিল ৪২ দশমিক ৪০ শতাংশ, গত বুধবার ৩৯ দশমিক ৯০ শতাংশ, গত মঙ্গলবার ৩২ দশমিক ০৬ শতাংশ, গত সোমবার ৩৬ দশমিক ৯২ শতাংশ, রোববার ২৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এই সাতদিনে গড় শনাক্তের হার ৩৪ দশমিক ২৪ শতাংশ।

রাজশাহীতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত ১১ জুন সিটি করপোরেশন এলাকায় এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন। পরে সেটি দুই দফা বাড়িয়ে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়।

এরপর এক জুলাই থেকে নতুন করে সরকারি ঘোষিত সাতদিনের কঠোর লকডাউন চলছে।