শনিবার দুপুরে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ২৭ নম্বর জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এপিবিএন ১৬ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ২৭ নম্বর জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-৮ ব্লকের মোহাম্মদ বশরের ছেলে মো. ফজল হক (৫০) এবং মোহাম্মদ জামালের স্ত্রী হামিদা খাতুন (২৫)।
গত ৩০ জুন ভোররাতে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের শরণার্থী ক্যাম্প সংলগ্ন দমদমিয়া নেচার পার্ক এলাকায় কয়েকজন ‘রোহিঙ্গা’ স্থানীয় বাসিন্দা মো. হাবিবুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বাড়ির সদস্যদের মারধর করার পাশাপাশি গুলি ছোড়ে।
এতে মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ সালামত উল্লাহ (২৫), মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ (২১) এবং মোহাম্মদ হাসান উল্লাহ (১৫) গুলিবিদ্ধ হন।
এ ঘটনায় ওইদিন সন্ধ্যায় মো. হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে টেকনাফ থানায় মামলা করেন। গ্রেপ্তাররা ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বলে জানান এপিবিএন অধিনায়ক তারিকুল।
তারিকুল বলেন, শনিবার দুপুরে এ মামলার কয়েকজন আসামি ২৭ নম্বর জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করছে খবর পায় এপিবিএন। এরপর একটি দল অভিযান চালায়। এ অভিযান টের পেয়ে কয়েকজন আসামি পালিয়ে গেলেও নারীসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে মো. ফজল হক জাদিমুরাসহ বিভিন্ন ক্যাম্প এলাকায় ‘অপহরণ, ডাকাতি, মাদকপাচার, মানবপাচার এবং নানা অপকর্মে জড়িত’ থাকার অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলেন তিনি।
“এছাড়া গ্রেপ্তার নারী হামিদা খাতুনের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা দুর্বৃত্তদের নানাভাবে সহায়তা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে" যোগ করেন তিনি।
গ্রেপ্তার আসামিদের আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম।