শনিবার দুপুরে জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের উদ্বেগজনক ঊর্ধ্বগতির মধ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির মুখপাত্র অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান জানিয়েছেন।
যশোর সদরের জনতা হাসপাতালে ৩০, ইবনে সিনায় ২০, নোভা মেডিকেল সেন্টার ও হসপিটালে ১৫, জেনেসিস হাসপাতালে ১৫, আধুনিক হাসপাতালে ১০ এবং কুইন্স হসপিটালে ১০টি শয্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সায়েমুজ্জামান জানান, জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় জেলা শহরের এই বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার জন্য শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
“১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই তাদের মৃত্যু হচ্ছে। এ অবস্থায় শনিবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ছয়জন এবং করোনা আক্রান্ত ৮ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।”
যশোর সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. রেহনেওয়াজ জানান, শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে ৭২০ জনের নমুনায় পরীক্ষায় ২৫০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
জেলায় শনাক্তের হার প্রায় ৩৫ শতাংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আক্রান্তদের মধ্যে শনিবারও যশোর সদর উপজেলায় সংখ্যা সর্বোচ্চ।”
সদর উপজেলায় ১৬৩ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া কেশবপুরে ৬, ঝিকরগাছায় ১১, অভয়নগরের ২২, মণিরামপুরে ১২, বাঘারপাড়ায় ২, শার্শায় ১৮ এবং চৌগাছায় ১৬ জন আক্রান্ত রয়েছে।
হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা অন্য দিনের চেয়ে বেশি ছিল জানিয়ে জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বলেন, শনিবার সকাল পর্যন্ত ১৪০ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছে ২০২ জন।