ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রামবাসীর তাড়া খেয়ে মরল নীলগাই

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় গ্রামবাসীর তাড়া খেয়ে একটি নীলগাই মারা গেছে।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 July 2021, 04:02 PM
Updated : 2 July 2021, 04:02 PM

শুক্রবার দুপুরে ধর্মগড় ইউনিয়নের মুক্তারবস্তি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান রাণীশংকৈল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মদন কুমার রায়।

এলাকাবাসীর বরাতে মদন কুমার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ধর্মগড় সীমান্ত এলাকার কাঁটাতার পেরিয়ে নীলগাইটি ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। কয়েকদিন ধরে এটি মুক্তারবস্তি এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল।”

তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে এলাকার লোকজন ‘বিলুপ্তপ্রায়’ এই প্রাণীটি দেখে ধরার চেষ্টা করে। গ্রামবাসীর ধাওয়া খেয়ে এক পর্যায়ে প্রাণ বাঁচাতে নীলগাইটি স্থানীয় একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়।

“এরপর লোকজন বাড়ির চারদিক ঘিরে ফেললে নীলগাইটি ঘরের জানলা দিয়ে লাফিয়ে পালাতে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মাটিতে পড়ে যায়।”

মদন কুমার বলেন, খবর পেয়ে ঠাকুরগাঁও প্রাণিসম্পদ বিভাগের ওই এলাকার লাইভস্টক সার্ভিস প্রোভাইডার (এলএসপি) আকবর আলী ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনিসহ গ্রামের লোকজন নীলগাইটিকে সুস্থ করে তুলতে বাতাস ও মাথায় পানি দিতে শুরু করেনে। কিন্তু এরই মধ্যে নীলগাইটি মারা যায়।

“মারা যাওয়া নীলগাইটি ধূসর রঙের পুরুষ প্রজাতির। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি হার্ট অ্যাটাকে নীলগাইটির মৃত্যু হয়েছে।”

মদন কুমার রায় বলেন, নীলগাই এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ হরিণবিশেষ প্রাণী; যার বৈজ্ঞানিক নাম boselaphus tragocamelus। অনেক আগে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় নীলগাই দেখা যেত। দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ের মাঠে-ঘাটে একসময় নীলগাইয়ের দেখা মিলত। এখন আর দেখা যায় না।

এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার শৌলা দোগাছি এলাকায় জবাই করার সময় প্রামবাসীর হাত থেকে একটি নীলগাই উদ্ধার হয়েছিল। তারও আগে ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর জেলার রানীশংকৈলের যদুয়ার গ্রামে আরকটি নীলগাই ধরা পড়েছিল।

এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে রাণীশংকৈলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রীতম সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ঠাকুরগাঁও বনবিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে শুক্রবার বিকালে নীলগাইটিকে ওই গ্রামে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।