ফেনীতে তিন নদীর বেড়িবাঁধে ভাঙন, ১০ গ্রাম প্লাবিত

টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙনের ফলে পরশুরাম ও ফুলগাজির অন্তত ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

নাজমুল হক শামীম ফেনী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 July 2021, 02:49 PM
Updated : 1 July 2021, 02:49 PM

বৃহস্পতিবার বিকালে মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ১১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন জানান, ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়; দুপুরে বিপদসীমার ১১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

“প্রবল পানির তোরে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের তিনটি স্থান ভেঙে গেছে।”

ভাঙন ঠেকাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন গ্রামে মাইকিং করা হয়েছে; সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম জানান, ফুলগাজী উপজেলা সদরের উত্তর দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের পাশে, পরশুরামের সাতকুচিয়া ও জয়পুর এলাকায় মুহুরী নদী রক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

“এতে উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নের জগতপুর গ্রাম, সদর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর গ্রাম, পরশুরাম উপজেলার সাতকুচিয়া, জয়পুরসহ দুই উপজেলার ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।” 

উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পানিতে ফুলগাজী বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বাজারের দোকান-পাট ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। বাঁধ ভাঙার কারণে পানিতে গ্রামীণ রাস্তাঘাট ও ফসলের মাঠ ডুবে গেছে। ভেসে গেছে শতাধিক পুকরের মাছ।

এদিকে বৃহস্পতিবার বিকালে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান।

এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন, ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল আলীমসহ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার লোকজনকে দ্রুত ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে। একই সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ দ্রুত মেরামত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন বলেন, পানি কমলেই ভাঙন অংশে বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।