নাটোরে বিএনপি নেতা বাবু হত্যায় মেয়র জাকিরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

অবশেষে নাটোরের বিএনপি নেতা সানাউল্লাহ নূর বাবু হত্যা মামলায় বনপাড়া পৌরসভার মেয়র কেএম জাকির হোসেনসহ ৪৪ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দিয়েছে সিআইডি।

নাটোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 June 2021, 03:37 PM
Updated : 29 June 2021, 03:37 PM

মঙ্গলবার বিকেলে জেলার সিআইডি কার্যালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর পর আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিলের কথা জানানো হয়।

২০১০ সালের ৮ অক্টোবর বনপাড়া শহরে হামলায় নিহত সানাউল্লাহ নূর বাবু বনপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি এবং বড়াইগ্রাম উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলেন।

এ মামলার অন্যতম আসামি আওয়ামী লীগের নেতা কেএম জাকির হোসেন বনপাড়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হাই বলেন,“এটা একটা চাঞ্চল্যকর রাজনৈতিক হত্যা মামলা। তাই সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে চার্জশিট দিতে কিছু সময় লেগেছে।”

তদন্তে এজাহারনামীয় প্রাপ্তবয়স্ক ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক তিনজনের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দাখিল করা হয়েছে। আসামিরা সবাই জামিনে মুক্ত আছেন বলেন তিনি।

সিআইডির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০১০ সালের ৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১টায় বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া শহরে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। সেখানে জেলা বিএনপির সভাপতি রুহুল কুদ্দুস তালুকদারের যোগ দেওয়ার কথাও ছিল।

এ উপলক্ষে বড়াইগ্রামের তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ নুর বাবু মিছিল নিয়ে বনপাড়া বাজারে যাচ্ছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা মিছিলে হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে। হামলায় চারজন সাংবাদিকও আহত হন।

ওই দিন বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সানাউল্লাহ নুর বাবুর মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মহুয়া নুর কোচি বাদী হয়ে প্রথমে ২৭ জনকে আসামি করে বড়াইগ্রাম থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে আদালতে সংযোজনের দরখাস্ত দিয়ে ৪৫ জনকে আসামি করেন। তবে মামলা চলাকালে আসামি বাদশা মিয়া মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মামলাটি তদন্ত প্রথমে থানা পুলিশ করলেও পরে সিআইডিকে এর ভার দেওয়া হয়।

এ অভিযোগপত্র প্রসঙ্গে মামলার বাদী ও নিহতের স্ত্রী মহুয়া নুর কোচি বলেন, “এত বিলম্বে এই অভিযোগপত্র দেওয়া হল, যখন মামলার অনেক সাক্ষী-প্রমাণ পাওয়া মুশকিল হবে।

“তাছাড়া আসামিরা ক্ষমতায় আছে, তারা সাক্ষীদের স্বাধীনভাবে সাক্ষ্যপ্রমাণ দিতে দেয় কি-না তা দেখার বিষয়।” 

এদিকে, এ মামলার অন্যতম আসামি বনপাড়া পৌরসভার মেয়র জাকির হোসেন বলেন,“রাজনৈতিক আক্রোশে আমাদের এই মামলায় আসামি করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি আইনগতভাবে মোকাবেলা করছি।”