মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহরের স্টেশন রোডে একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেন এই তরুণী। তিনি নিজেকে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা হিসেবে পরিচয় দেন।
এরপর শুভ আল মাহমুদ শোভন নামের ওই যুবকও অভিযোগ অস্বীকার করে একই স্থানে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন।
এই ঘটনায় ওই তরুণী আদালতে মামলা এবং ওই যুবক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তরুণীর অভিযোগ, গত শনিবার [২৬ জুন] শুভ আল মাহমুদ তার সহযোগীদের নিয়ে রাস্তায় পথরোধ করে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক একটি অটোরিকশায় তুলে অপহরণ করে নিয়ে যান।
“পরে জেলা শহরের খরমপট্টিতে ভূমি অফিসের সামনে শোভনের নির্জন বাসায় নিয়ে শোভন তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ওই সময় তার ডাক চিৎকারে লোকজন জড়ো হলে শোভন ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।”
এই ঘটনায় ওই তরুণী গত রোববার [২৭ জুন] জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান।
তরুণীর সংবাদ সম্মেলনের কিছুক্ষণ পর একই স্থানে শুভ আল মাহমুদ শোভনও সংবাদ সম্মেলন করেন।
তিনি সব অভিযোগ ‘মিথ্যা’ ও ‘বানোয়াট’ দাবি করে বলেন, দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ও প্রেমের সর্ম্পক থাকায় ওই তরুণীকে টাকা ধার দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে সর্ম্পকের অবনতি ঘটলে এবং টাকা ফেরত চাইলে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন।
তিনি বলেন, “গত ২৬ জুন তার কাছে টাকা চাইলে সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং ওই রাতেই একটি টেলিটক নম্বর থেকে ফোন দিয়ে আমার বাসায় আসে।”
এই বিষয়ে ২৬ জুন শোভনও কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানান।
এই দুই সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এই ব্যাপারে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পিপি এম এ আফজল জানান, ওই তরুণীর দায়ের করা মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশের গোয়েন্দা শাখার [ডিবি] ওসিকে তদন্তের আদেশ দিয়েছে আদালত।
ওই আদালতের বিচারক কিরন শংকর হালদার এই আদেশ দেন।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি আবু বকর সিদ্দীক জানান, শুভ আল মাহমুদ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্তাধীন আছে।