‘শ্বশুরবাড়ি থেকে আম-কাঠাল কম পাঠানোয়’ স্ত্রীকে বেদম মারধর

ফেনীতে শ্বশুরবাড়ি থেকে ‘আম-কাঁঠাল কম পাঠানোর অভিযোগে’ লোহার রড ও ইট দিয়ে বেদম মারধরে আহত এক গৃহবধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ফেনী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2021, 11:58 AM
Updated : 28 June 2021, 11:58 AM

এ ঘটনায় আহত ফারজানা আক্তার সুমি (২৫) ফেনীর পরশুরাম উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের সাতকুচিয়া গ্রামের আবুল কাশেম ভেন্ডরের ছেলে এয়াকুব আলীর (৩৫) স্ত্রী।

এ ঘটনায় আহত ফারজানাকে রোববার রাতে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রোকসানা সুরাইয়া জানান, ফারজানার শরীরে একাধিক স্থানে গুরুতর জখম রয়েছে। হাত-পা ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা হচ্ছে।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারজানা জানান, তার নেশাগ্রস্ত স্বামী এয়াকুব আলী চার লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে তার উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে। তুচ্ছ কারণে এর আগেও বহুবার তাকে মারধর করেছে।

রোববার বিকেলে তার বাবার বাড়ি থেকে কিছু মৌসুমী ফল (আম-কাঁঠাল) স্বামীর বাড়িতে পাঠায়। রাতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তার স্বামী ঘরে ঢুকে শ্বশুরবাড়ি থেকে আম-কাঠাল কম পাঠানোর অভিযোগ তুলে নির্যাতন শুরু করেন।

এ সময় ‘লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে তার হাত-পা ও মাথায় গুরুতর আহত করে’। এক পর্যায়ে ‘ইট দিয়ে মাথা ও পিঠ থেঁতলে দেয়’ এয়াকুব আলী।

খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

আহত ফারজানা আরও বলেন, বিয়ে পরে নির্যাতনের কারণে ফারজানার স্বজনরা পরশুরাম থানায় মামলাও করেছিল। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সালিশে ঘটনা মীমাংসা করে পুনরায় সংসার শুরু করেন তিনি। তাদের একটি ছেলে রয়েছে।

পশুরাম থানার ওসি খালেদ হোসেন বলেন, “স্থানীয়দের মাধ্যমে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের কথা আমরা জানতে পেরেছি। তবে সোমবার দুপুর পর্যন্ত ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এদিকে এয়াকুব আলী ও তার বাবা আবুল কাশেমের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।