কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক আহমেদ জানিয়েছেন, রোববার বিকালে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ জেটিঘাট সংলগ্ন প্যারাবনে হাতি দুটি আশ্রয় নেয়।
এ নিয়ে দুই দিনে চারটি হাতি বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
এর আগে শনিবার বিকালে টেকনাফ সদরের জালিয়াপাড়া সংলগ্ন পয়েন্টে দুটি হাতি নাফ নদী সাঁতরে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসেছিল।
"হাতি দুটির বয়স ৪০ বছরের বেশি হতে পারে। এগুলোর উচ্চতা ৭ থেকে ৯ ফুট। হাতি দুটোকে কলাগাছসহ বিভিন্ন ধরনের লতাপাতা খেতে দেওয়া হয়েছে।"
রেঞ্জ কর্মকর্তা আরও বলেন, "প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢলের পাশাপাশি দলছুট হয়ে সাঁতরে নাফ নদীর এপারে আসতে পারে। হাতি দুইটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।"
সাবরাং ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ফজলুল হক বলেন, মিয়ানমার থেকে হাতি দুইটিকে নদী সাঁতরে আসতে দেখে শত শত উৎসুক জনতা ভিড় করে। পরে বনবিভাগের সংশ্লিষ্টদের খবর দিলে হাতি দুটি উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আশিক জানান, রাত ১০টা পর্যন্ত হাতি দুইটি বিজিবির শাহপরীরদ্বীপ বিওপি সংলগ্ন নাফ নদীর পানিতে অবস্থান করছে। আর বনবিভাগের কর্মীরা হাতিগুলোকে পাহারায় রেখেছে।
এর আগে শনিবার উদ্ধার হওয়া হাতি দুইটিকে টেকনাফের বনাঞ্চলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
টেকনাফের ইউএনও পারভেজ চৌধুরী বলেন, গত বছর ৪ অগাস্টও নাফ নদী সাঁতরে মিয়ানমার থেকে একটি হাতি বাংলাদেশে এসেছিল। এরপর শনিবার আসে দুইটি বড় আকারের হাতি। সর্বশেষ রোববার এলো এই দুটি হাতি।