বোট ক্লাবের ঘটনা বলতে থানায়: পরীমনি

পরীমনির সঙ্গে সেদিন ঢাকা বোট ক্লাবে কী ঘটেছিল তা পুলিশকে বলেছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন এই চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।

সাভার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 June 2021, 03:59 PM
Updated : 27 June 2021, 03:59 PM

সাভার মডেল থানায় প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে একথা জানান পরীমনি।

এসময় পুলিশ পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জিমিকেও সাক্ষী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদ করে বলে এই অভিনেত্রী জানান।

তবে পুরো সময়টিতে কোনো গণমাধ্যমকর্মীকে সাভার মডেল থানায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাদা রংয়ের ব্যক্তিগত গাড়িতে সাভার মডেল থানা থেকে বের হন পরীমনি। এসময় তার সঙ্গে কস্টিউম ডিজাইনার জিমিসহ পাঁচ জন অন্য আরেকটি গাড়িতে ছিলেন।

পরীমনি প্রথমে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

পরে গাড়িতে বসে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ওই রাতে ঢাকা বোট ক্লাবে কী ঘটেছিল তা বলতে তিনি থানায় এসেছিলেন। আরও আগেই আসার কথা ছিল কিন্তু অসুস্থতার কারণে আসতে পারেননি।

মামলায় ন্যায় বিচার পাওয়ার বিষয়ে পরীমনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “আপনারা সবাই আমাকে এতে সাপোর্ট দিচ্ছেন এতে আমি প্লিজড।”

এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে ব্যক্তিগতসহ দুইটি গাড়ি নিয়ে সাভার মডেল থানায় উপস্থিত হন পরীমনি। জিজ্ঞাসাবাদের পুরো সময়টি তিনি ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ হিল কাফীর কক্ষে অবস্থান করেন।

জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে সাভার থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, মামলার তদন্তের স্বার্থে আপতত কোনো তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়।

পরীমনি সাভার মডেল থানায় প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে থানার মুল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। গণমাধ্যম কর্মীসহ কাউকেই থানার ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছু এক পুলিশ সদস্য জানিয়েছিলেন, ঢাকা বোট ক্লাবের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় ডেকে আনা হয়েছে।

পরীমনির অভিযোগ, পূর্ব পরিচিত তুহিন সিদ্দিকী অমি গত ৮ জুন রাতে তাকে ‘পরিকল্পিতভাবে’ বোট ক্লাবে নিয়ে যান এবং সেখানে উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি নাসির ইউ মাহমুদ তাকে ‘ধর্ষণের চেষ্টা’ করেন।

পরে সাভার থানায় পরীমনি মামলা করার পরপরই নাসির ও অমিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তখন তাদের কাছে মাদকদ্রব্য পাওয়ার কথা জানিয়ে আলাদা মামলাও করে পুলিশ।

সাভার মডেল থানায় করা পরীমনির মামলায় গ্রেপ্তার নাসির ও অমি ৫ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। গত ২৩ জুন তাদের সাভার মডেল থানায় আনা হয়।