কুয়াকাটায় নির্মাণাধীন সেতু ভেঙে খালে

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় নির্মাণাধীন সেতুর কাজ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙে পড়েছে।

পটুয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 June 2021, 01:22 PM
Updated : 27 June 2021, 01:22 PM

রোববার সকাল ৬টার দিকে কুয়াকাটা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দোভাষীপাড়া খালের উপর নির্মিত এ সেতুর গার্ডারের স্ল্যাব বিকট শব্দে ভেঙে খালে পড়ে যায়।

এতে দুই ইউনিয়নের সাথে কুয়াকাটা পৌরসভার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছে এ অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ।

কুয়াকাটা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মিজানুজ্জামান বলেন, সেতু ভেঙে পড়ায় ইতিমধ্যেই ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে মামলাও করা হবে।

গত ২১ জুন কুয়াকাটা পৌরসভায় যোগ দেওয়ায় ‘সেতুটির নির্মাণ বিষয়ে কিছুই জানা নেই’ উল্লেখ তিনি করে বলেন, কী কারণে সেতুটি ভেঙে পড়েছে তা তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।

পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা পৌরসভার সাথে লতাচাপলী ইউনিয়নের যোগাযোগের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ দৃষ্টিনন্দন এ সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। কুয়াকাটা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে সরকারের অর্থায়নে ২ কোটি ২৬ লাখ ১৫ হাজার ৮৮৩ টাকা ব্যয়ে ২০ মিটার দৈর্ঘের সেতু নির্মাণে পৌরসভার দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি শুরু হয়।

সেতুর ৮০ ভাগ কাজ শেষ এবং ভেঙে পড়া স্লাবের ৪৬ লাখ টাকার বিল ঠিকাদার তুলে নিয়েছে জানিয়ে তিনি জানান, ২০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৫.৫ মিটার প্রস্থেরেএ সেতুর দুটি গার্ডারের উপর বসানো স্লাবের মাঝে আড়াআড়ি ভেঙে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ওই সেতুর স্থানে একটি লোহার পুল ছিল। সেটি ভেঙে দীর্ঘদিন পড়ে ছিল। সেখানে গার্ডার ব্রিজের কাজ চলছিল।

সেতুটির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সৈয়দ মো. সোহেল অ্যন্ড দ্বীপ এন্টারপ্রাইজ (জেবি) এর নাম থাকলেও মূলত মামুন নামে অন্য এক ঠিকাদার কাজটি দেখাশোনা করতেন বলে স্থানীয়রা বলছেন।

ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক পটুয়াখালীর টাউন কালিকাপুরের জাহাঙ্গির ও সৈয়দ সোহেল।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতুটির নির্মাণের শুরু থেকেই নিম্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারসহ কার্যাদেশ অনুযায়ী কাজ না করার কারণে এমনটি হয়েছে। নির্মাণ কাজ নিয়ে তারা বিভিন্ন সময় প্রকৌশলী ও পৌর মেয়রকে অভিযোগ দিয়েছেন।

তারা আরও জানান, এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন মিশ্রিপাড়া, লতাচাপলী, ধুলাসারসহ পায়রা বন্দরে যাতায়াত করে থাকে পর্যটকসহ হাজার হাজার মানুষ।

এ ব্যাপারে কুয়াকাটা পৌর মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার বলেন, নির্মাণ কাজ শেষ হবার আগেই কেন সেতুটি ভেঙে পড়েছে তা বলতে পারবেন এ প্রকল্পের প্রকৌশলীরা। তাদেরকে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও মেয়র জানান।