লকডাউন: ঢাকা ছাড়ছে মানুষ, শিমুলিয়ায় ঢল

সারাদেশে কঠোর লকডাউনের সরকারি ঘোষণা আসার পর ঢাকা ছাড়তে মানুষের ঢল নেমেছে শিমুলিয়ায় ফেরি ঘাটে।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 June 2021, 06:11 AM
Updated : 26 June 2021, 06:32 AM

শনিবার ভোর থেকেই দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা মানুষের ভিড় বেড়েছে পদ্মার এ ঘাটে। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই হাজার হাজার মানুষ ফেরিতে গাদাগাদি করে পাড়ি দিচ্ছে পদ্মা।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ বলেন, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে এখন ১৪টি ফেরি সচল রয়েছে। লকডাউনের নিয়ম অনুযায়ী ফেরিতে শুধু রোগী বহনকারী গাড়ি এবং জরুরি পণ্য পরিবহণের গাড়ি ছাড়া সবকিছু পারাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

সারাদেশে কঠোর লকডাউনের সরকারি ঘোষণা আসার পর স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে শনিবার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে দক্ষিণাঞ্চলের উদ্দেশে যাত্রা করা মানুষের ভিড়।

“কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উপক্ষো করেই ঘাটে ভিড় জমাচ্ছেন যাত্রীরা। এছাড়া ঘাটের দুই পাড়ে শতশত যান পারাপারের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। রাজধানী ছাড়ার পাশাপাশি অনেকে ফিরছেও।”

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যনত সারাদেশে ‘কঠোর লকডাউন’ জারির ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

এই সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সকল সরকারি বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী পরিবহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে অ্যাম্বুলেন্স ও চিকৎসা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত যানবাহন এবং গণমাধ্যম নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।

সারাদেশে কঠোর লকডাউনের সরকারি ঘোষণা আসার পর স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে শনিবার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে দক্ষিণাঞ্চলের উদ্দেশে যাত্রা করা মানুষের ভিড়।

সাফায়েত বলেন, বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট থাকায় ঘাটে আসার আগেই অনেক যানবাহন ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারপরও চাপ কমানো যাচ্ছে না।

লঞ্চ,স্পিডবোট ও ট্রলার বন্ধ থাকায় ফেরিতে করেই যাত্রী পারাপার হচ্ছে।  তবে গণপরিবহন না থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে যেতে নানা বিড়ম্বনায় পড়ছে হচ্ছে লোকজনকে।

৩ নম্বর পন্টুন সংযোগ সড়ক বর্ষার পানিতে জলমগ্ন হওয়ায় দুর্ভোগ আরও বেড়ে গেছে।

এদিকে জেলায় ২০টি চেকপোস্ট বসিয়ে লকডাউন কার্যকরে কাজ করা হচ্ছে বলে মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন জানান।

সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, জেলায় এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৯০৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আর মারা গেছে ৭১ জন।