কোভিড: বাগেরহাটে শনাক্তের হার বেড়েছে

বাগেরহাটে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার প্রতিদিনই ওঠানামা করছে। কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েও সংক্রমণের লাগাম টেনে রাখা যাচ্ছে না।

বাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2021, 06:06 AM
Updated : 25 June 2021, 06:51 AM

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে  এম হুমায়ুন কবির জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

সংক্রমণের হার ৪৬ দশমিক ১৫ শতাংশ। যা আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় ১২ শতাংশ পয়েন্ট বেশি।

সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা মোংলা উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২০ জনের মধ্যে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। 

সেখানে সংক্রমণের হার ৬৪ দশমিক ৫১ শতাংশ; আগের ২৪ ঘণ্টায় এই হার ২১ দশমিক ৮৭ শতাংশ ছিল বলে জানান হুমায়ুন কবির।

জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বাগেরহাট এ পর্যস্ত মোট দুই হাজার ৮৬৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাদের ৭৩ জন মারা গেছেন; সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৩৮ জন।

সিভিল সার্জন বলেন, “বাগেরহাট জেলায় গত দুই সপ্তাহ ধরে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রথমে মোংলাতে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। এখন তা আশেপাশের উপজেলাগুলোতেও ছড়াচ্ছে। হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে।

“সংক্রমণ রোধের একটাই উপায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চললে লকডাউন দিয়ে কোন উপকারে আসবে না।”

এদিকে বাগেরহাটে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় জেলাজুড়ে সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ প্রতিপালনে অবস্থান নিয়েছে প্রশাসন।

শুক্রবার বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন দোকানপাট ও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। রাস্তাঘাটও ফাঁকা। যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না, তাদের জরিমানা করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

তবে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে কাজ না পেয়ে দুর্ভোগ বেড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষদের।

বাগেরহাট পৌরসভার রিরশাচালক মধু মণ্ডল বলেন, “আমার আয়ে সংসার চলে। বাড়ির বাইরে না বেরোলে আয় হবে না। আয় না করলে খাব কি? তাই বাধ্য হয়ে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছি।”

রিকশাচালক জসিম শেখ বলেন, “রাস্তায় লোকজন কম, সেভাবে আয়ও হচ্ছে না। যে অবস্থা চলছে তাতে গরীর মানুষের বেঁচে থাকাই কষ্ট সাধ্য হয়ে যাচ্ছে।“

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঊর্দ্ধগতির লাগান টেনে ধরাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। জেলায় গত ১৫দিন ধরে সংক্রমণের গড় হার ৪২ শতাংশ। জেলায় জারি করা কঠোর বিধিনিষেধেও সংক্রমণের হার কমছে না।