শ্রীমঙ্গল শহরের মৌলভীবাজার রোডে খান টাওয়ারে অনুষ্ঠিত এই নিলাম কেন্দ্রে বুধবার সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নিলাম অনুষ্ঠান চলে।
এতে প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ৩ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হয় ‘হানি ফ্লেভার গ্রিন টি, ২ হাজার ৪২০ টাকায় বিক্রি হয় লেমন গ্রিন টি, ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হয় মাছা টি এবং ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয় আলগ্রে।
শাহবাজপুর চা বাগান এই চারটি চা এবার বাজারে নতুন ছেড়েছে।
নিলামে সর্বনিম্ন ১৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় ব্ল্যাক টি।
শ্রীমঙ্গল ব্রোকার্স লিমিটেডের পরিচালক হেলাল চৌধুরী জানান, দেশের দ্বিতীয় চা নিলাম কেন্দ্র শ্রীমঙ্গলে ২০২১-২২ অর্থ বছরের ৪র্থ চায়ের নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে; যেখানে মৌসুমের প্রথম চা ওঠে।
“এর মধ্যে আকর্ষণ ছিল মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার শাহবাজপুর চা বাগানের বিশেষ চারটি চা।”
শ্রীমঙ্গল টি প্ল্যান্টার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক জহর তরপদার বলেন, শ্রীমঙ্গল টি ব্রোকার্সের মাধ্যমে নিলামে নতুন জাতের চারটি চা তোলা হয়েছে; যা এই নিলামের প্রধান আকর্ষণ ছিল।
উৎপাদন বেশি হওয়ায় আগের নিলামের চেয়ে এবার চা বেশি উঠেছে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশে নতুন উদ্ভাবিত এই চার ধরনের চা উৎপাদকারী শাহবাজপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, সৌখিন চাপায়ীদের জন্য তারা বিশেষ এই চার প্রকারের চা তৈরি করেছেন। এর মধ্যে একটি হলে হানি গ্রিন টি। এটি বিটি টু চায়ের একটি পাতা ও কুঁড়ির সঙ্গে প্রাকৃতিক মধু মিশিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এটি পান করলে মধু ও চা দুটি ফ্লেভার পাওয়া যায়। এছাড়া এটিতে আলাদা করে মিষ্টি দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
ইংল্যান্ড থেকে এই সুগন্ধি নিয়ে এসে এই চা তৈরি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
রাশেদুল ইসলাম আরও জানান, জাপান ও ইংল্যান্ডের মানুষ বাংলাদেশে এলে এই চা পেয়ে খুশি হবেন। পাশাপাশি দেশের মানুষকে নতুন কিছু উপহার দেওয়াও হলো।
নলামে শ্রীমঙ্গল শহরের হবিগঞ্জ রোডের চা ব্যবসায়ী আলমগীর টি হাউসের সত্ত্বাধিকারী আলমগীর হোসেন ৩ হাজার ১০০ টাকা কেজি দরে ক্রয় করেন হানি টি এবং এশিয়ান টি ক্রয় করে মাছা, লেমন ও আলগ্রে।