বৃহস্পতিবার দুপুরে চিনিকলের দক্ষিণ গেইটে ‘চুক্তিভিত্তিক ইক্ষু শ্রমিক ইউনিয়ন’র এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ আনা হয়।
বাংলাদেল চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের (বিএসএফআইসি) নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পঞ্চগড় চিনিকল কর্তৃপক্ষেএ কাজ করেছে বলেন ইক্ষু শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মিজানুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম।
গত ২০ ডিসেম্বর বিএসএফআইসি দেশের আখ মাড়াই স্থগিত করা চিনিকলগুলোয় শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাকে প্রাপ্য টাকা দেওয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির প্রসঙ্গ টেনে শ্রমিকনেতারা জানান, বিএসএফআইসির এ নিষেধাজ্ঞা দেশের সব চিনিকল মেনে চললেও পঞ্চগড় চিনিকল কর্তৃপক্ষ মানেনি।
তারা আরও জানান, গত ৩০ মে মিল কর্তৃপক্ষ ইক্ষু বিভাগের চুক্তিভিত্তিক ৩০ জন কর্মীকে চাকরি থেকে অব্যাহতির দাপ্তরিক আদেশ দেয়।
প্রধান কার্যালয়ের আদেশ ছাড়াই মিল কর্তৃপক্ষ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ছাটাইয়ের এই অফিস আদেশ জারি করেছে বলে অভিযোগ তুলে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান শ্রমিকনেতারা।
নয়তো কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তারা।
বিষয়ে পঞ্চগড় চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) ইউসুফ আলী জানান, এক বছরের জন্য এদের চুক্তিভিত্তিক কাজের বিনিময়ে মজুরিভিত্তিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
“বর্তমানে চিনিকল বন্ধ থাকায় এবং কোনো কাজও নেই, তাই কাজের বিনিময়ে মজুরিভিত্তিতে কাজ করা শ্রমিকদের ধাপে ধাপে ছাঁটাই করা হয়েছে। বর্তমানে এ মিলে আর চুক্তিভিত্তিক কোনো শ্রমিক নেই। তবে স্থায়ী কাউকে ছাঁটাই করা হয়নি বা হচ্ছে না।“