বুধবার বিকেলে জেলা করোনা প্রতিরোধ মনিটরিং কমিটির জরুরি ভারচুয়াল সভায় বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে এটি কার্যকর হবে। আগামী ৩০ জুন মধ্যে রাত পর্যন্ত এ কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ থাকবে বলে জানানো হয়।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, গত ১৫ দিন ধরে জেলায় আক্রান্তের গড় হার ৪২ শতাংশ।
এ জেলার মানুষের টেস্ট করাতে অনীহার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “অনেকেই করোনা উপসর্গ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে; এটি হল সবচেয়ে বিপজ্জনক। এরা ঘুরে বেড়ানোর কারণে সংক্রমণ বাড়ছে।
“বাগেরহাটের গ্রামে-গঞ্জে ঘরে-ঘরে সর্দি-জ্বর, কাঁশি বিরাজমান। সর্বত্র করোনার উপসর্গ বিরাজ করছে।”
সন্ধ্যায় ৮টি নির্দেশনা দিয়ে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
এ বিধিনিষেধের মধ্যে জেলা ও আন্তঃজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে। গণপরিবহণসহ সব ধরনের ইঞ্জিন ও ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচল এবং দোকানপাটসহ শপিংমল বন্ধ থাকবে। অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে আসতে পারবে না।
তবে বাগেরহাটের মোংলাবন্দরে দেশি-বিদেশি জাহাজের পণ্যওঠা-নামার কাজ স্বাভাবিক থাকবে। রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল ইপিজেডের সব কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ কাঁচা ও মাছ বাজার, খাবার দোকান, ওষুধের দোকান, রোগী আনা নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স সেবা এ লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে।
গত ৩০ মে থেকে বাগেরহাট জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। এ সময় জেলার মোংলা উপজেলাতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার ছিল সবচেয়ে বেশি। গত ৩০ মে থেকে তিন দফায় বিধিনিষেধ দিয়েও তা নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
বাগেরহাট জেলায় করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৭৩৬জনে। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৭৫০ জন, মারা গেছেন ৭২ জন।