বুধবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক মন্জুরূল হাফিজ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বুধবার মধ্যরাত থেকে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত থাকবে এ বিধিনিষেধ।
এরআগে গত ১৬ জুন থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ১১ দফা বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছিল। সেসব বিধিনিষেধ বহাল রেখে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা বাড়াল।
বিধিনিষেধ চলাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখা যাবে। খাবারের দোকান ভোর ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকলেও বসে খাওয়া যাবে না।
দৈনিক ও সাপ্তাহিক হাট-বাজার বন্ধ থাকবে। আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে আম পরিবহনের যানবাহন চলবে।
জেলার অভ্যন্তরে রিকশায় একজন এবং ইঞ্চিনচালিত অটোরিকশা ও সিএনজিতে দুজন করে যাত্রী বহন করা যাবে।
জনসমাবেশ হয় এমন সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা যাবে না।
সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৫ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। পরে ৭ জুন পর্যন্ত এর মেয়াদ বাড়ানো হয়। এরপর ৮ জুন থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত ‘বিশেষ বিধিনিষেধ’ আরোপ করা হয়। পরে ২৩ জুন পর্যন্ত বিধিনিষেধ বাড়ানো হয়।
সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, বর্তমানে জেলায় ১ হাজার ৩৪৯ জন পজিটিভ রোগী আছে; এদের মধ্যে ৭২ জন সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। জেলায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৯৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৭০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১১ জন পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।