মেহেরপুরে ছাত্রলীগ নেতা ও প্রকৌশলীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

মেহেরপুরে ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের এক প্রকৌশলী।

মেহেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 June 2021, 11:25 AM
Updated : 22 June 2021, 11:25 AM

এ ঘটনায় প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বারিকুল ইসলাম লিজন।

মেহেরপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী অনুজ কুমার দে অভিযোগ করেন, পাথর, বালি, জ্বালানি কাঠ, ব্যাগসহ কিছু মাল সরবরাহের জন্য ৩৯ লাখ টাকার একটি কাজ দরপত্রের মাধ্যমে খুলনার এক প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ১৮ জুন মাল সরবরাহের শেষ দিন ছিল।

“খুলনার সেই ঠিকাদারের প্রতিনিধি হিসাবে বারিকুল ইসলাম লিজন কাজ করছিলেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লিজন পুরা মাল সরবরাহ করতে পারেননি। তিনি ২০-২৫ ভাগ মাল সরবারাহ করেন। অথচ তিনি পুরো কাজের পুরো বিল জমা দেন। পুরো টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দেন লিজন। আমি যতটুকু কাজ হয়েছে তার বেশি বিল দিতে পারব না বললে ক্ষিপ্ত হয়ে রোববার অফিস থেকে চলে যান লিজন। সোমবার এসে লিজন নিজেকে ছাত্রলীগ সভাপতি পরিচয় দিয়ে বিল সই করতে হুমকি দেন। আমি অপরাগতা প্রকাশ করলে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে লিজন ও তার সঙ্গী আমাকে কিলঘুষি মারতে শুরু করেন। আমি চিৎকার করলে অন্য কর্মচারীরা এসে আমাকে উদ্ধার করেন।”

এ ঘটনায় তিনি সদর থানায় মামলা করেছেন।

ছাত্রলীগ নেতা লিজন পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন। তিনি মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন।

লিজনের দাবি, তিনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুরো মাল সরবরাহ করেছেন। কিন্তু সওজ কর্মকর্তা বিল দিতে গড়িমশি করছেন।

“সোমবার দুপুরে বিলের খবর নিতে আমি ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাশেদুল ইসলাম আনন্দ সওজ অফিসে গেলে প্রকৌশলী অনুজ কুমার দে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ চান। অন্যথায় পুরো বিল দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। তখন প্রকৌশলী অনুজ কৌশলে কক্ষ থেকে বেরিয়ে চিৎকার শুরু করে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করেন এবং মারধরের অভিযোগ আনেন। এ সময় মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কথাকাটাকাটি হয়েছে মাত্র।”

তিনি এ বিষয়ে আদালতে মামলা করবেন বলে জানান।

মেহেরপুর থানার ওসি শাহ দারা খান বলেন, “সোমবার সড়ক ও জনপথ অফিসে মারধরের ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। প্রকৌশলী অনুজ কুমার দে বাদী হয়ে তাকে মারধরের অভিযোগ এনে মঙ্গলবার থানায় মামলা করেছেন।

“মামলায় মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বারিকুল ইসলাম লিজন ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাশেদুল ইসলাম আনন্দকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ আসামি গ্রেপ্তারে অভিযানে নেমেছে। এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।”