এই অভিযোগে এলাকার লোকজন জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এই অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
তবে চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম শাহজাহান তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের জন্য জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে বরাদ্দ দেন। দুলাই ইউনিয়নে ১৫০ জনে দুস্থ ও অসহায় ব্যক্তি এই বরাদ্দ পান।
চেয়ারম্যান শাহজাহান উক্ত বরাদ্দ থেকে জনপ্রতি ৫০ টাকা কেটে ৪৫০ টাকা করে দিয়েছেন; এবং এভাবে তিনি ৭৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে তাদের অভিযোগ।
পাশাপাশি ভিজিএফ কার্ডধারী বেশ কিছু দুঃস্থ ও অসহায়দের জন্য বরাদ্দ জনপ্রতি ৪৫০ টাকা না দিয়ে নিজস্ব লোক দিয়ে ভুয়া স্বাক্ষর ও টিপসহি দিয়ে মাস্টাররোল পূরণ করেছেন অভিযোগ করে তা তদন্তের দাবি এই অভিযোগকারীদের।
তালিকাভুক্ত ১৫০ জনের প্রত্যেককেই ৫০ টাকা করে কম দেওয়া হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ভিজিএফ তালিকায় যাদের নাম আছে তাদের অনেককেই চেয়ারম্যান টাকা দেননি। নিজস্ব লোক দিয়ে জাল স্বাক্ষর করে প্রায় ১৫০ জনের বরাদ্দের টাকা তুলে নিয়েছেন।
এর প্রমাণ তাদের কাছে আছে বলে দাবি করেন।
এই ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির সদস্য ও সুজানগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, “আমরা সরেজমিনে ঘটনা তদন্ত করেছি। ভুক্তভোগীদের বক্তব্য ও পরিষদের নথিপত্র যাচাই করা হয়েছে। শীঘ্রই রিপোর্ট দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।”
তবে তদন্তাধীন বিষয়ে এর বেশি বলা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওশন আলী বলেন, “আমরা অভিযোগ খতিয়ে দেখছি। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেলে বিষয়টি স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।”
এদিকে, অভিযোগ অসত্য ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত দাবি করেছেন দুলাই ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম শাহজাহান।
তিনি বলেন, “আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে স্থানীয় একটি চক্র ষড়যন্ত্রে নেমেছে। বানোয়াট অভিযোগ করে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা হচ্ছে।”